এক সাক্ষাত্কারে মৎস্য, পশুপালন ও গবাদিপশু মন্ত্রনালয়ের সচিব অতুল চতুর্বেদী বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই ৫০০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রচলন করতে চলেছে। পশুপালন খাত সম্প্রসারণ এবং উন্নীত করতে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য হ'ল পশুপালন খাতে উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আভ্যন্তরীণ ব্যয় হ্রাস করা।
তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও জানিয়েছেন যে, এখন দারিদ্র্যতা নিবারণ করতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এই খাতে আরও বিনিয়োগকে উত্সাহিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
স্কিম সম্পর্কে -
এই স্কিমটি প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের জন্য পরিচালিত হবে এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি শৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করা হবে, যারা গরু, মহিষ, ছাগল এবং শূকর –এর খামার তৈরি করবে ও প্রাণীদের প্রজনন করবে এবং কৃষকদের কাছে বিক্রি করবে।
৫০ শতাংশ ভর্তুকি -
চতুর্বেদী বলেছেন যে, কেন্দ্রের তরফ থেকে উদ্যোক্তাদের ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি সরবরাহ করা হবে। আরেকটি মূল সুবিধা হল কৃষকরা গরু, মহিষ, ছাগল, শূকরের জাত ও আধুনিক প্রযুক্তি ক্রয়ের জন্য মূলধন- ব্যয়ের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ব্যাংক লোণের সুবিধা নিতে পারেন।
তিনি বলেছেন, “আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পোল্ট্রি শিল্পে প্রচলিত বেসরকারি হ্যাচারিগুলির সাফল্যের প্রতিলিপি তৈরি করতে চাই। গত কয়েক বছর ধরে প্রাণিসম্পদ আউটপুট ৮% সিএজিআর (compound annual growth rate) বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সঠিকভাবে উত্সাহিত হলে তা দ্বিগুণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলস্বরূপ, কৃষকদের আয় ৩-৪ গুণ বাড়তে পারে এবং এটি আত্মনির্ভরভারতের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে”।
বছরে মাত্র দুই থেকে তিন মাসের জন্য মানসম্পন্ন সবুজ চারণ পাওয়া যায়। সুতরাং, সরকার সবুজ চারণকে সাইলেজে রূপান্তরিত করে সস্তা পশুখাদ্য উৎপাদনের জন্য গ্রামীণ উদ্যোক্তা তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং এটি সারা বছর সস্তা দামে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন - স্বল্প ব্যয়ে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে চাষ করুন অ্যাজোলা
অতঃপর কেন্দ্র হাব-ও-স্পোক মডেলটির জন্য আশাব্যাঞ্জক। চতুর্বেদী বলেছেন, “কৃষকরা দুটি ফসলের মরসুমের মধ্যে চারণ চাষ করতে পারেন এবং উদ্যোক্তারা কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার করে এটি প্রক্রিয়াজাত করতে পারেন। এরপর কৃষকরা এটিকে সিলেজে রূপান্তর করতে পারেন এবং এর মূল্যের দশ ভাগের এক ভাগ দামে বিক্রয় করতে পারেন”।
আরও পড়ুন - জলকৃষি থেকে স্থানীয় যুবক/যুবতী ব্যবসা করে খুঁজে পেতে পারেন আয়ের পথ