প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরাও কৃষিকাজের সঙ্গে অন্যান্য কাজে আগ্রহী হচ্ছে। অনেকেই পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আরও একটি জিনিস সামনে আসছে সেটি হল পাখি ব্যবসা। পাখি ব্যবসা করে অনেকেই দেখছেন লাভের মুখ। যে পাখির নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে সেটি হল মুরগিরই আরও একটি জাত। যার নাম গিনি ফাউল।
গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ গিনি ফাউল ফার্মিং এর সঙ্গে পরিচিত। আপনি যদি গ্রামের বাসিন্দা হন তাহলে অবশ্যই এই পাখির নাম শুনে থাকবেন। এবার এই পাখির বিশেষত্ব ও ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
আরও পড়ুনঃ ঢুকছে বর্ষা! বিশেষ আপডেট IMD’ র, দিল ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
এটি একটি বিদেশী পাখি। এটি আফ্রিকার গিনি দ্বীপপুঞ্জে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর জন্যই এই পাখির নামকরণ করা করা হয়েছে গিনি ফাউল। এই পাখি পালন করলে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভ করা যায়। এই পাখির ব্যবসা শুরু করলে সময় দিতে হয় কম এবং খরচও কম। আর এই পাখি প্রতিপালনের ক্ষেত্রে তেমন পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না।
আরও পড়ুনঃ এই তিন জাতের গরুকে একটু যত্ন নিলেই মিলবে ৫০ লিটার দুধ
এই পাখি পালনে প্রতিপালকদের খরচ করতে হয় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এই পাখির ওপর আবহাওয়ার কোনও প্রভাব পড়ে না। এমনকি এই পাখি খুব কম অসুস্থ হয়। তবে এর ডিম বেশিদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়না। গিনি ফাউল প্রায় ৯০ থেকে ১০০টি ডিম পাড়ে। এই পাখির ডিম অন্যান্য ডিমের তুলনায় বড় হয়। এর এক একটি ডিম বাজারে ১৭ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। আপনি যদি প্রথমবারের জন্য এই মুরগির পালন শুরু করেন তাহলে ছোট পরিসরে শুরু করুন। পাশাপাশি সঠিক প্রশিক্ষন নেওয়ার জন্য সেন্ট্রাল বার্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট বেরেলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ নাম পরিবর্তন করে নেহরু মিউজিয়াম হল 'প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম'
গিনি ফাউল পাখি পালন করে কৃষকরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। ১ হাজার গিনি ফাউল পাখি নিয়ে যদি ব্যবসা শুরু করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।