মাছ চাষের সময় অনেক প্রজাতির মাছ পালন করা হয়। এতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মাছ উৎপন্ন করি। গ্রাস কার্প হল বিদেশী মাছের একটি প্রজাতি যা ঘাস মাছ নামেও পরিচিত। ঘাস মাছের উৎপাদনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ মেট্রিক টন এই মাছ উৎপাদিত হয়। এই মাছ শুধুমাত্র ঘাস এবং শেওলা খায়। এটি খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে কারণ তারা প্রচুর খাবার খায়। এই মাছ তার ওজনের তিনগুণেরও বেশি খায়। এই মাছের দৈর্ঘ্য গড়ে 60 সেন্টিমিটারের বেশি। এই মাছ 40 কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে।
গ্রাস কার্প বৈশিষ্ট্য:-
গ্রাস কার্প এর ওজন 40 কেজি পর্যন্ত হয় তবে এর দেহ দীর্ঘ। এই মাছের মুখ সূক্ষ্ম এবং সরু। এই মাছের লেজের পালক বিভক্ত। এই জাতের মাছ জলজ উদ্ভিদের পাশাপাশি ঘাস খায়। এই মাছ জলের মাঝখানে থাকে। এটি জলের মাঝখানে ঘাস এবং পাতাযুক্ত গাছপালা খায়।
সম্পূর্ণ নিরামিষ:-
এই জাতের মাছ প্রতি বছর তাদের ওজন 1000 থেকে 1500 গ্রাম বৃদ্ধি করে, যা মিশ্র চাষের জন্য খুবই উপযোগী বলে বিবেচিত হয়। গ্রাস কার্প দ্বিতীয় বছরে প্রজননের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। সাত থেকে আট মাসে এই মাছের ওজন অর্ধেক থেকে এক কেজি পর্যন্ত বেড়ে যায়। প্রতি হেক্টরে গ্রাস কার্প এর উৎপাদন প্রায় আট টন। এই মাছের ওজন বাড়ার প্রধান কারণ এর খাওয়া দাওয়া পদ্ধতি। এই মাছ সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী বলেই ওজন অনেক বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ শুরু করুন, দ্বিগুণ লাভ হবে!
গ্রাস কার্পের চাষ পদ্ধতি
গ্রাস কার্পের চাষ একচেটিয়াভাবে করবেন না। সর্বদা মনে রাখবেন যে গ্রাস কার্প কম্পোজিট বা পলিকালচারে পালন করা উচিত। এটি জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। জলজ জীববৈচিত্র্য বজায় থাকলে তা মাছের বৃদ্ধির উপযোগী বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুনঃ এই মাছ চাষ করে উপার্জন করুন ২০ লাখ! পাবেন সরকারি ঋণও