মধুর উপকারীতা সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত মধু খেয়ে উপকার লাভ করে থাকেন। মধু প্রাকৃতিক হলেও বর্তমানে মধু বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে অনেকেই বানিজ্যিকভাবে মধুচাষ করে উপার্জন করতে পারছে। শুধু ভারতেই নয় সারা বিশ্বব্যাপিই মধুর চাহিদা রয়েছে। ২০১৪ সালে সারা বিশ্বে ২.৩ মিলিয়ন ডলারের মধু রপ্তানি হয়েছে।
মধুর উপকারীতা(Benefits of honey):
১) নিয়মিত বিশুদ্ধ মধু সেবনের মাধ্যমে নানা প্রকার রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
২)মধু চাষের মাধ্যমে বাড়তি আয় করা সম্ভব।
৩)মধু আমাদের খাদ্যে পুষ্টিমান বৃদ্ধি ও উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করে থাকে।
৪)স্বাদ ও রুচির দিক থেকে খাদ্যের মান উন্নয়ন।
৫)কৃষিভিত্তিক কুটির শিল্পের উন্নয়ন।
৬) দেশজ সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান।
৭) ফল ও ফসলের সফল পরাগায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন - Gulsha fish farming method: জেনে নিন গুলশা মাছ চাষ পদ্ধতি
ফসলের সাথে মধু চাষের পদ্ধতি(Honey farming process):
আমরা সবাই জানি ফসলের পরাগায়নের জন্য মৌমাছি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে থাকে। মধু পরাগায়ন করলে ফসল ভালো হয়। তাই বর্তমানে ফসলের মাঠে মৌমাছি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি। ফসলের মাঠে মৌমাছি চাষ করলে মৌমাছি ফসলের মাঠ ঘুরে ঘুরে শরীরে পরাগরেনু বয়ে বেড়ায়। পরাগরেনুর বিচরণের ফলে সহজেই পরাগায়ন ঘটে। এতে করে ফসল উৎপাদন প্রায় ১০-১৫ ভাগ বেড়ে যায়। সেই সাথে মৌমাছি হতে মধু ও মোম সংগ্রহ করা যায়। তাই ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও মধু, মোম বিক্রি হতে কৃষক ভালো আয় করতে পারে। এজন্য এই প্রক্রিয়াটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ফসলের মাঠে চাষের মাধ্যমে মানসম্পন্ন মধু পাওয়া যায়:
সাধারণত মধু সংগ্রহের সময় চেপে চেপে সংগ্রহ করা হয়। এতে করে যেমন সম্পুর্ন মধু সংগ্রহ করা যায় না সেই সাথে মধুর সাথে মৌমাছির ডিম, মৌমাছি, বাচ্ছা আবর্জনাসহ মিশে যায়। অন্যদিকে পালন করা মৌমাছির বাক্স থেকে সহজেই যান্ত্রিক উপায়ে বিশুদ্ধ মধু সংগ্রহ করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় পুরোপুরি মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে থাকে।
খাঁটি মধু চেনার উপায় কি?
খাঁটি মধু চেনার উপায় নিয়ে আমরা প্রায়ই বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকি। খাঁটি মধু কয়েকটি প্রক্রিয়ায় চেনা যায়। মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। খাঁটি মধু জলের গ্লাসে ড্রপ কয়েক ফোঁটা ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়। আবার, কয়েক ফোঁটা মধু একটি ব্লটিং পেপারে নিলে ব্লটিং পেপারে মধু শোষিত হবে না। ভেজাল মধু ব্লটিং পেপারকে আর্দ্র করে তোলে। এভাবে খুব সহজেই আমরা খাঁটি মধু চিনতে পারি।
আরও পড়ুন -Tobacco Cultivation: জেনে নিন তামাক চাষের সম্পূর্ণ পদ্ধতি ও পরিচর্যা