Food and Agriculture Organization (FAO) বিভিন্ন দেশকে ও জনগণকে মৌমাছি ও পরাগসংগ্রাহী পতঙ্গ সংরক্ষণ এর আর্জি জানিয়েছে, কারণ এইসব পরাগসংগ্রাহী পতঙ্গদের অস্তিত্ব অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই সংস্থাটি ২০ শে মে, ২০১৮ তারিখকে বিশ্বমধুমক্ষী দিবস হিসাবে পালন করেছেন, যাতে মানুষের মধ্যে মধুমক্ষীর সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। মধুমক্ষী ও অন্যান্য পরাগসংগ্রাহী পতঙ্গরা পৃথিবীর প্রায় ৮৭ টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের পরাগসংযোগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি রাসায়নিক এর অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে এই বিশেষ কীট প্রজাতির অস্তিত্ব আজ বিপন্নের পথে। মৌমাছি না থাকলে বহু গাছের ফলন সম্ভব নয়, এমনকি সেই উদ্ভিদ প্রজাতি যেমন- আপেল, কফি, আমন্ড, টমেটো, পেঁয়াজ, ও কোকো গাছের অস্তিত্বও আজ বিপন্ন হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও FAO গুলি কীটনাশক ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য বিশেষ বিধিনিষেধ চালু করেছে যাতে হয়তো উপকারী পতঙ্গদের হত্যা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে । প্রথম মধুমক্ষি দিবস আয়োজিত হয় স্লোভেনিয়ার ব্রেঞ্জিকা গ্রামে, যেখানে স্লোভানিয়ার প্রেসিডেন্ট বরাট পাহোর উপস্থিত ছিলেন, ব্রেঞ্জিকা গ্রামে মহান মৌপালনবিদ্ অ্যান্টন জ্যাংজারের জন্মস্থল। তিনি ১৭৩৪ খ্রিষ্টাব্দে ২০ শে মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেই তাঁর জন্মদিনকেই বিশ্ব মধুমক্ষীদিবস পালন করা হল।
- প্রদীপ পাল