১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 5 December, 2018 1:39 PM IST

বর্তমানে আমাদের বিশ্বে শস্যের প্রাকৃতিক পরাগসংযোগকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, যার জন্য আমাদের শস্য বৈচিত্র্যও নষ্ট হতে চলেছে, এটা একটি বিরাট সমস্যা, যা কিনা শস্যের বৃদ্ধি ব্যাহত করছে। মৌমাছি, যারা কিনা আমাদের শস্যের প্রকৃতিক পরাগসংযোগে সহায়ক, এবং যাদের সাহায্যে আমাদের শস্যবৈচিত্র্য বাড়ে, খাদ্যের যোগান বাড়ে, আজ তাদের সংখ্যাই ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে চলেছে। এটাই যদি বাস্তব হয় তাহলে আগামী কয়েক বৎসরের মধ্যেই আমাদের খাদ্যে টান পড়তে চলেছে, এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এই মৌমাছিদের বাঁচানোর জন্য, এবং তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য, একটি বিশেষ প্রক্রিয়াকে প্রইয়োগের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, যা কিনা আমাদের কাছে বস্তুগতভাবে বহুল পরিচিত এবং এই বস্তুকেই বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে একটি অত্যন্ত সুস্বাদু শক্তিপানীয় তৈরি করা হচ্ছে, যা কিনা মৌমাছির মত প্রকৃতিক পরাগসংযোগকারীদের বেঁচে থাকার আধার হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে। মৌ সংরক্ষণ কাগজ একটি পচনশীল বস্তু যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তিবর্ধনকারী গ্লুকোজ দ্বারা সমৃদ্ধ এবং যা কিনা মৌমাছিদের কাছে একটি খুব পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাদ্য। এই অন্তর্নিহিত গ্লুকোজ একেবারেই চটচটে নয়, তাই এই কাগজটি কিন্তু আঠালো হয় না। এই গ্লুকোজ মৌমাছিদের শরীরে শক্তির সঞ্চার করে এবং তাদেরকে বহুদূর পর্যন্ত উড়তে সহায়তা করে।

এই কাগজটি একটি বিশেষধরণের চিনিকে জলে গুলে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। এই চিনি দ্বারা তৈরী মন্ডটি মৌপালক্রা সাধারণত শীতকালে মৌচাকের গথন থিক রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তথ্য অনুযায়ী, এই মিশ্রণটির মাত্র ৫০০ গ্রাম পরিমাণ কয়েক হাজার মৌমাছির শক্তি বৃদ্ধিতে সমর্থ।এই কাগজটি এমনভাবে তৈরি হয় যা কিনা হাজার হাজার মৌমাছির মধ্যে শক্তি যোগাবে কিন্তু কখোনোই আঠালো হবে না। এই বিশেষ ধরণের চিনিকে আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত, যা কিনা জলে গুলে গিয়ে মৌমাছিদের জন্য ‘মৌশক্তি’ মন্ড তৈরি করতে সক্ষম।

কীভাবে এটি কাজ করে?

এই কাগজটি ‘লেডি ফেসিলা’ নামক মধুউদ্ভিদ থেকে তৈরী হয়।এই গাছের শর্করা যেমন মৌমাছিদের শক্তি যোগায়, তেমনি এটি পচনশীল ধর্মের জন্য পরিবেশের কোনো ক্ষতি সাধন করে না।আসলে এর একটি দ্বিতীয় সুবিধাও রয়েছে-যেমন একবার মৌমাছিরা এই কাগজের মধ্যে নিহিত গ্লুকোজকে সেবন করলে অই জায়গা থেকেই আবার নতুন গ্লুকোজ জন্মাতে পারে, অর্থাৎ এই কাগজের মধ্যে গ্লুকোজ আপনা থেকেই সঞ্চিত হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে মৌমাছিরা এই কাগজে নিজেদের খাদ্য খুঁজে পাবে? আসলে আমরা বলতে চাইছি যে, এই কাগজটি আমাদের সাধারণ কাগজের মতো একেবারেই নয়। এই বিশেষ কাগজে যদি কিছু মনোহারি রঙ্গিন নক্‌সা কেটে দেওয়া হয় তা সহজেই মৌমাছিদের আকৃষ্ট করবে। কফি স্লিভ্‌, ব্যাগ, গাড়ি পার্কিং টিকিট, এমনকি আপনার পিকনিকে ব্যবহৃত খাবারের প্লেটটিও এই কাগজ দ্বারা প্রস্তুত করা সম্ভব।    

- প্রদীপ পাল(pradip@krishijagran.com)

English Summary: Honeypower increased by paper honey
Published on: 05 December 2018, 12:30 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)