মাছ দুই প্রকার কনড্রিকথিস এবং অসটিচথিস। এদের সঠিক বাংলা আছে কি না বলা খুব মুশকিল। সুবিধার জন্য আমরা এদের নরম-কাঁটা এবং শক্ত-কাঁটার মাছ বলা যেতে পারে ।
-
উপরের চিত্রে আরো লক্ষ্য করবেন যে, বামে শক্ত-কাঁটার মাছের মুখ ছিদ্র সামনে। কিন্তু নরম-কাঁটার মাছের মুখ ছিদ্র খানিকটা নিচে।
-
লেজে যেই পুচ্ছ পাখনা থাকে, নরম-কাঁটার মাছের পুচ্ছ পাখনার দুটি অংশ অসমান, কিন্তু শক্ত-কাঁটার মাছের ক্ষেত্রে সেটি সমান হয়।
নিচের চিত্রে উপরেরটি শক্ত-কাঁটার মাছ ও নিচেরটি নরম কাটার মাছ। লেজগুলো লক্ষ্য করুন।
আমরা মাছ বলতে মূলত শক্ত-কাঁটার মাছগুলোকেই চিনি। তাই নরম-কাঁটার মাছগুলোর একটা সামগ্রিক চিত্র নিচে দেওয়া হল ।
আরও পড়ুনঃ চিংড়ি চাষ ব্যবসা থেকে লক্ষ লক্ষ উপার্জন করুন, মাছ চাষ দিয়ে শুরু করুন
স্তন্যপায়ীঃ
স্তন্যপায়ী প্রাণিরা মাছের চেয়ে বেশ খানিকটা আলাদা। এরা মূলতঃ স্থলচর, তার মানে এই না যে পানিতে থাকলেই মাছ হয়ে যাবে। স্কুইড-অক্টোপাস এরাও তো পানিতে থাকে। এরা নিশ্চই মাছ নয়!
আরও পড়ুনঃ চৌবাচ্চায় আমুর মাছের কৃত্রিম প্রজনন ,সহজ আয়ের উপায়
ডলফিন, অরকা, তিমি এরা পানিতে থাকলেও এবং বাহ্যিক আকারে মাছের মতো হলেও এরা মাছ নয়। এদের ফুসফুস আছে, ফুলকা নেই। হাঙর বা তেলাপিয়া মাছ দিনের ২৪ ঘন্টা পানির তলে থাকলেও সমস্যা নেই, কিন্তু তিমি, অরকা বা ডলফিনকে কিছুক্ষণ পরপর নিশ্বাস নেয়ার জন্য উপরে আসতে হয়। তিমির পিঠে তার নাক আছে যেটাকে ফোয়ারার সাথে তুলনা করা হয়।
এদের লেজটাও আলাদা, সাধারণ মাছের লেজের পুচ্ছ পাখনা পানির সাথে উল্লম্ব থাকে, কিন্তু এদের থাকে আনুভূমিক। হাঙর আর তিমির লেজের পার্থক্য নিচে চিত্রে দেখে নিন।
সবচেয়ে বড় কথা তিমি মাছের মত ডিম পাড়ে না। তিমি বাচ্চা প্রসব করে। মা তিমির শরীরে স্তনগ্রন্থি থাকে। এবং সেটা থেকে অপত্য তিমিকে দুধ খাওয়ায়। নিচে চিত্রে দেখুন তিমি বাচ্চা প্রসব করছে। লেজ বেরিয়ে এসেছে।
হাম্পব্যাক তিমি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর চিত্র।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন তিমি একটা মাছের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট ধারণ করে না, বরং স্তন্যপায়ী প্রাণির বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। একারণেই তিমি মাছ নয়, স্তন্যপায়ী প্রাণি।