এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 15 May, 2019 9:52 AM IST

 পুকুরের মিষ্টি জলের মাছের বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকারের ব্যবস্থপনা নিয়ে আলোচনা

রোগ: ফুলকা পচা (ছত্রাক ঘটিত রোগ)

লক্ষণ: ফুলকার রঙ ক্রমশ সাদা হতে থাকে। মাছের শ্বাসকষ্ট হয় ও জলে ভাসতে থাকে।

প্রতিকার :

  • জলের গভীরতা কমলে চলবে না।
  • ১০০ লি. জলে ৩ কেজি লবন বা ২০০ লি জলে ১ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট গুলে আক্রান্ত মাছকে ৫-১০ মিনিট ডুবিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।

রোগ : লেজ ও পাখনা পচা (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ)

লক্ষণ: মাছের লেজ ও পাখনায় পচন ধরে ও খসে পরে।

প্রতিকার :

  • মাছের খাদ্যের সাথে বিঘা প্রতি ১০০ মিলি গ্রাম টেরামাইসিন বা সালফাডায়াস্কিন পর পর ৭ দিন দিতে হবে।

রোগ : ড্রপসি বা উদরী রোগ (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ)

লক্ষণ : মাছের পেটে জল জমে যায় এবং আঁশ সামান্য খাঁড়া হয়ে থাকে।

প্রতিকার :

  • আক্রান্ত মাছকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
  • বিঘা প্রতি জলে ১-১.৫ কেজি পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট অল্প অল্প করে জলে গুলে পুকুরের জল শোধন করতে হবে।
  • সম্ভব হলে পুকুরের জল শুকিয়ে চুন প্রয়োগ করে পুকুর শোধন করতে হবে।

 

রোগ: কাতলার চক্ষু রোগ  (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ)

লক্ষণ : প্রথমে চোখ ঘোলাটে হয়, পরে পচে গিয়ে সাদা হয়।

প্রতিকার :

  • লিটার প্রতি জলে ৮-১০ মিলিগ্রাম ক্লোরোমাইসেটিন মিশিয়ে মাছকে সেই জলে ১০ মিনিট ডুবিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। পর পর তিন দিন এই ভাবে চিকিৎসা করতে হবে।

রোগ : মাছের উকুন (আরগুলাস নামের প্রানী)

লক্ষণ : মাছ চঞ্চল হয়। পারে এসে গা ঘষতে থাকে, মাছের বৃদ্ধি কমে যায়।

প্রতিকার :

  • পুকুরের মাঝে বাঁশ পুতে দিলে সেগুলিতে গা ঘষে মাছ উকুন ঝেড়ে ফেলে।
  • বিঘা প্রতি জলে প্রতি মিটার গভীরতায় ৭৮০ গ্রাম গ্যামাক্সিন প্রয়োগ করে পুকুর শোধন করতে হবে।
  • বিঘা প্রতি জলে ২০ এম এল সাইপারমেথ্রিডিন সূর্যালোকের উপস্থিতিতে দিতে হবে।

রোগ : সাদা গুটি ( মিক্সোস্পোরিডিয়াম নামে এক কোষি প্রাণী)

লক্ষণ : মাছের গায়ে ও ফুলকায় সাদা গুটি দেখা যায়। মাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। শিশু ও ছোট মাছে এই রোগ বেশী দেখা যায়।

প্রতিকার :

  • পুকুরে মাছের সংখ্যা কমাতে হবে।
  • তিন শতাংশ হারে লবন জলে মাছ ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে।

রোগ : ক্ষত রোগ (এক্টিনোমাইসিস ব্যাকটেরিয়া)

লক্ষণ: বর্ষার  শেষে মাছের গায়ে লাল লাল দাগ দেখা যায়। ক্রমে তা ক্ষত সৃষ্টি করে ও মাংশ পেশীতে পচন ধরে

প্রতিকার :

  • বিঘা প্রতি জলে ১৫-২০ কেজি চুন দিতে হবে।
  • জল শোধনের জন্য বিঘা প্রতি জলে প্রতি মিটার গভীরতায় ১২-১৩ গ্রাম মিথিলিন ব্লু দিতে হবে।
  • বিঘা প্রতি ২ কেজি চুন দিতে হবে।

মাছের কৃমি: (গাইরোডেক্টাইলাস ও ডেক্টাইলোগাইরাস নামের চ্যাপ্টা কৃমি)

লক্ষণ : আক্রান্ত মাছ নিস্তেজ হয়ে পরে, উজ্জ্বলতা হারায় ও শেষে মারা যায়।

প্রতিকার :

  • তিন শতাংশ হারে লবন জলে পর পর কয়েকদিন ডুবিয়ে পুকুরে ছাড়তে হবে।
  • বিঘা প্রতি জলে ২০ এম এল সাইপারমেথ্রিডিন সূর্যালোকের উপস্থিতিতে দিতে হবে।

তথ্য : সংগ্রিহীত

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

English Summary: how-to-cure-fish-diseases
Published on: 15 May 2019, 09:47 IST