ভারতে ছাগল পালন (Goat Rearing) বৃহৎ আকারে করা হয়, তবে নতুন ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ না করায় অনেক সময় পালনকারীর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি ছাগলের ব্যবসা করতে চান তবে প্রথমে এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল অনেক শিক্ষিত তরুণ ও প্রগতিশীল কৃষক ছাগল পালনের ব্যবসা করে ভাল লাভ করছেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ছাগল পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে (Scientific methods of goat rearing) -
গতানুগতিক উপায়ে অসুবিধাসমূহ -
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকেরা সনাতন পদ্ধতিতে ছাগল পালন করে থাকেন, যার কারণে তারা পর্যাপ্ত আয় থেকে বঞ্চিত হন। এতে ব্যয় হয় বেশী এবং সময়ও লাগে, তবে অনেক সময় ছাগল বেশী মারা যাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় পশুপালককে। অনেক সময়ে, বেশীরভাগ ছাগলপালক অর্থের কারণে ভাল জাতের ছাগল পালন করেন না, যার কারণে তারা এটিকে লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করতেও অক্ষম হয়ে থাকেন।
হাইব্রিড ছাগল পালনে লাভ -
ভারতে ছাগলের মাংসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। হাইব্রিড জাতের ছাগল পালন এই কারণে ভাল লাভ করতে পারে। হাইব্রিড ছাগল ও উন্নত প্রজাতির ছাগল পালনে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কম, অন্যদিকে তাদের মাংস খুব সুস্বাদু এবং এর চাহিদাও রয়েছে। এ ছাড়া হাইব্রিড ছাগলের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এটি মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ২৫ কেজি হয়ে যায়। ব্ল্যাক বেঙ্গল এবং সিরোহি উন্নত জাতের ছাগল যা পালন করলে কৃষকের ভাল লাভ হবে।
সঠিক ডায়েট ম্যানেজমেন্ট -
দেশের বিভিন্ন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই সময়ে ডায়েট ম্যানেজমেন্ট, টিকা প্রদান সহ অনেকগুলি বিষয় প্রশিক্ষিত হয়। এর সাথে, ছাগলকে দেওয়া খাদ্যে ভিটামিন এবং খনিজগুলির পরিমাণ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বৈজ্ঞানিক ছাগল পালনের জন্য পর্যায়ক্রমে টিকা দেওয়া, কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়া ও পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা করা খুব জরুরী। বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরে, ব্যয় কম হয়, সাথে সাথে ছাগল পালন থেকে ভাল লাভ করা যায়।
আরও পড়ুন - জানেন কি দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোন সময়ে প্রজনন জরুরী আপনার পালিত পশুটির (Cow Breeding Time)?