গত কয়েক বছরে ভারতের গ্রামাঞ্চলে মাছ চাষের প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। কম খরচে বেশি লাভের কারণে কৃষি বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই চাষিদের মাছ চাষের পরামর্শ দেন। এ ছাড়া সরকারকেও বিভিন্ন উপায়ে কৃষকদের উৎসাহিত প্রদান করতে দেখা যায়। অনেক রাজ্য সরকার তাদের নাগরিকদের মৎস্য চাষে ভর্তুকি প্রদান করে।
বর্তমানে কৃষকরা মিশ্র মাছ চাষকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এর ফলে কৃষকরা ভালো লাভও করতে পাচ্ছেন। দেশি মাছ চাষ করতে চাইলে কাতলা, রুই, ও মৃগাল প্রজাতির মাছ চাষ করতে পারেন । এই মাছগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, আপনি এই দেশীয় মাছের সাথে পুকুরে সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প এবং সাধারণ কার্পের মতো বিদেশী প্রজাতির মাছও চাষ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এমন একটি জাতের গাভী যা প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ লিটার দুধ দেয়
কীভাবে মাছের চারা সংরক্ষণ করবেন
পুকুরে মাছের বীজ সংরক্ষণ করার আগে একটি পলিথিনের প্যাকেটে জল ও অক্সিজেন ভরে নিন। এরপর এই প্যাকেটটি পুকুরে রাখুন। এই সময়, প্যাকেটে পুকুরের জল রাখুন। যখন পলিথিনে পুকুরের জল সমান পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে তারপর ধীরে ধীরে মাছের চারা তুলে পুকুরে ফেলতে হবে। পুকুরে ধানের তুষ বা সরিষা বা চীনাবাদামের পিঠা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এতে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ প্রশাসনের আড়ালেই চলছে অবৈধ মৎস্য হত্যা
মিশ্র মাছ চাষের পদ্ধতি
এক থেকে দুই বছরের মধ্যে যখন এই মাছগুলি ১.৫ কেজি হয়ে যায়, তখন তাদের বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে । বাজারে এগুলো বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে । বছরে ৩০০০ কেজি মাছ উৎপাদন করলে অনায়াসে বছরে ২ থেকে ২.৫ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব । এই তিনশ মাছ লালন-পালনে আপনার খরচ হবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এই অর্থে, মিশ্র মৎস্য চাষে, আপনি সহজেই লাভের ৫ গুণের বেশি খরচ পাবেন।