ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদনকারী দেশ। ২০১৬ সালে ভারতের দুগ্ধ শিল্পের পরিমাণ ছিল ৫০০০ বিলিয়ন টাকা। ১৯৯৭ সাল থেকে ভারত বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশ। ভারতে, কো-অপারেটিভ এবং প্রাইভেট ডেয়ারিগুলি উৎপাদিত দুগ্ধের মাত্র ২0% পায়। আনুমানিক ভাবে বাজারে প্রায় ৩৪% দুধ বিক্রি হয় এবং ৪৬% স্থানীয়ভাবে খাওয়া হয়। এটি উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম যেখানে প্রায় ৯০% উদ্বৃত্ত দুধ সংগঠিত ক্ষেত্রের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় আইসক্রিম শিল্প ডেয়ারি বা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান বিভাগের মধ্যে একটি। বর্তমানে ভারতে আইসক্রীমের বাজারের মূল্য ৪০০০ কোটি টাকার বেশি এবং বছরে ১৫-২০% হারে বাড়ছে।
২০১৯ সালের মধ্যে আইসক্রীমের বাজারের মূল্য প্রায় ৬,১৯৮ কোটি টাকাতে পৌছবে। ভারতে, আইসক্রিম শিল্প বেশিরভাগ আঞ্চলিক এবং শুধুমাত্র এক বা দুটি জেলায় বা কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি রাজ্যের মধ্যে ব্র্যান্ডগুলি সীমাবদ্ধ রয়েছে। খুব কম জাতীয় ব্র্যান্ড রয়েছে এবং ছোট আইসক্রিম নির্মাতাদের ধীরে বৃদ্ধির পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে - আইসক্রিম পণ্যগুলির উচ্চমূল্য। বর্তমানে ১২-১৫% বার্ষিক হারে আইসক্রিমের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে,এবং ভারতের আইসক্রিম বাজারের ভবিষ্যৎ উন্নতি, নির্মাতা, সরবরাহকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য আশাব্যঞ্জক। বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের ব্যবসা বিস্তার করতে শুরু করেছে। ভারতের ছোট এবং মাঝারি আইসক্রিম নির্মাতারা এখন আরও বেশি সাশ্রয়ী মূল্যের চীনা সরঞ্জাম ব্যবহার করে বেশী মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন।
আরও পড়ুন কৃষি দপ্তরের আতমা প্রকল্পে খাঁকি ক্যাম্পবেল চাষের প্রশিক্ষণ ও প্রচার
আশা করা হচ্ছে যে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চিজের বাজার বর্তমানে ৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার হবে যা ২0২১ সালের মধ্যে প্রায় ১৫.৫৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। ভারত ও চীন এই দুটি দেশ চিজ্ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। ভারতে চিজের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্মাতারা উপভোক্তাদের ভাল মানের পণ্য সরবরাহ করার উপর জোর দিচ্ছে।
উপভোক্তারা আরো অনেক রকমের ডেয়ারি পণ্য চাইছে, সেই কারণে চিজের বাজার ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিক্রির দিক দিয়ে দেখতে গেলে, আশা করা যাচ্ছে ২০১৫-২০ সালের মধ্যে চিজের বাজার আনুমানিক ৩১% হারে বৃদ্ধি পাবে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী