কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দিল্লি সরকার লাম্পি ভাইরাসে আক্রন্ত প্রাণীদের জন্য বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থ্যা করেছে। রাজধানীতে, প্রানীদের মধ্যে লাম্পি ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধের জন্য একটি বিশেষ নিয়ন্ত্রণ হেল্পলাইন নম্বর ৮২৮৭৮৪৮৫৮৬ চালু করা হয়েছে। এবং এটি ২৪ ঘন্টা কাজ করবে বলে জানা গেছে।
দিল্লির পরিবেশ ও উন্নয়ন মন্ত্রী গোপাল রাই প্রাণীদের লাম্পি ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনের কথা বলেছেন। তিনি টুইটে লেখেন, খানপুরে একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পশু মালিকদের সচেতন করতে ৪টি টিম গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এই গরু বছরে ২৭৫ দিন দুধ দেয়
তিনি আরও বলেন, দিল্লিতে লাম্পি ভাইরাস থেকে প্রাণীদের রক্ষা করার জন্য, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ২টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা হবে। এছাড়াও, পশুদের চিকিৎসার জন্য ১১টি র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, লাম্পি ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীতে সুস্থ প্রাণীদের টিকা দেওয়ার জন্য দিল্লি সরকার ৬০,০০০ ডোজ 'গোট পক্স' ভ্যাকসিন কিনবে। গবাদি পশুদের বিনামূল্যে টিকা দেবে দিল্লি সরকার।এখনও পর্যন্ত দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলায় ১৭৩ টি লম্পি ভাইরাস আক্রন্তের খবর পাওয়া গেছে।
লাম্পি ভাইরাসের লক্ষণ
এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীদের নাক ও মুখ থেকে জল ও লালা পড়তে শুরু করে। প্রচণ্ড জ্বর এবং লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গরু খাবার খাওয়া ছেড়ে দেয়। এই জাতীয় প্রাণীর চামড়ার নীচে প্রথমে ছোট দানা দেখা দেয়। এই ফুসকুড়ি ক্ষতে পরিণত হয়। এগুলি বেশিরভাগ গবাদি পশুর মুখ, ঘাড় এবং যৌনাঙ্গের কাছে দেখা যায়।
গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী করবেন ?
১) অবিলম্বে নিকটস্থ ভেটেরিনারি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করুন। সংক্রমিত গাভীকে সুস্থ গাভী থেকে দূরে রাখুন।
২) সংক্রমিত গাভীর চলাচল বন্ধ করুন। গরুকে সর্বদা বিশুদ্ধ জল দিন।
৩) সংক্রমিত গাভীর দুধ পান করবেন না।
৪) মশা, মাছি, ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক ব্যবহার করুন।
৫) গবাদি পশুর গোয়ালঘর ফিনাইল/সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে পরিষ্কার করুন।
আরও পড়ুনঃ আজই শুরু করুন দুধের ব্যবসা, লাভ জানলে চমকে যাবেন!
গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কী করবেন না ?
১) মাঠে গরু পাঠাবেন না।
২) পশুমেলা ও প্রদর্শনীতে গবাদি পশু পাঠাবেন না।
৩) গরুর মৃতদেহ খোলা জায়গায় ফেলবেন না বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গভীর গর্তে পুঁতে ফেলবেন।
৪) অসুস্থ ও সুস্থ গরুকে একসঙ্গে খাবার ও জল দেবেন না।
৫) আক্রান্ত এলাকা থেকে গবাদি পশু কিনবেন না।
৬) বাছুরকে অসুস্থ পশুর দুধ খাওয়াবেন না।