কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পোনওয়ার জাতের গাভী পূর্ণিয়া নামেও পরিচিত। এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ , তেলেঙ্গানা এবং মহারাষ্ট্রে পাওয়া যায় । এই গরুর মাঝারি আকারের শিং , ছোট কান , উজ্জ্বল চোখ , উন্নত কুঁজ , লম্বা ও পাতলা লেজ থাকে। এই গরুর গড় উচ্চতা ১০৯ সেমি পর্যন্ত হয় ।এই গরু দিনে গড়ে ১০ থেকে ১২ লিটার দুধ দেয় ।
খাদ্য উপাদান
এই গরু ভুট্টা , বার্লি , বাজরা , ছোলা , গম , ভুট্টা , ভুট্টার খোসা , চিনাবাদামের খোসা , তুলার বীজের খোসা , তিলের খোসা ইত্যাদি খায় । এছাড়া চারণভূমির সাথে খড় মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো দুধ উৎপাদন হয়।
আরও পড়ুনঃ ভারতের সবচেয়ে দামি মহিষ, যার দাম ৯ কোটি টাকা এবং ওজন ১৫০০ কেজি
আশ্রয়
এই গাভির জন্য ভাল ছায়াযুক্ত স্থান প্রয়োজন। এর জন্য অনুকূল পরিবেশের প্রয়োজন। পোনওয়ারের ভারী বৃষ্টি , গরম রোদ এবং ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন । নিশ্চিত করুন যে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিষ্কার বাতাস এবং জলের ব্যবস্থা রয়েছে।
গর্ভবতী গাভির যন্ত নিতে হবে যেভাবে
গরুর গর্ভাবস্থায় এর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে ভালো বাছুর জন্ম নেবে এবং গাভীর দুধের ফলনও ভালো হবে।
বাছুরের যত্ন
জন্মের পরপরই বাছুরকে গরম কাপড় বা বস্তা দিয়ে ঢেকে গরুর কাছে রাখুন। অবিলম্বে বাছুরের মুখ থেকে কফ সরাতে হবে। যদি বাছুরটির শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তবে হাত দিয়ে বুকে চেপে কৃত্রিম শ্বাস দিন।
আরও পড়ুনঃ খালে মাছ চাষ একটি অন্যতম রোজগারের পাথেয়
টিকা
সময়ে সময়ে পশুদের সব ধরনের টিকা দিতে থাকুন। জন্মের ৭ থেকে ১০ দিন পর বাছুরের শিং তুলে ফেলুন এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা দিন ।