মুরগি পালন একটি অত্যন্ত সফল ব্যবসা। এটি এমন একটি ব্যবসা যা কম পুঁজি, সময় এবং পরিশ্রম এবং স্থানের মধ্যে করা যায়। তবে মুরগির ভালো যত্ন নিলেই তবেই আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন। পোল্ট্রি ফার্মে রোগের বিস্তার ঘটলে তা আপনার জন্য় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এ জন্য তাদের সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি টিকা নেওয়া খুবই জরুরি।মুরগির টিকা দেওয়ার মাধ্যমে মৃত্যুহার অনেকাংশে রোধ করা যায়। কোন রোগের টিকা নিতে হবে মুরগির কোন রোগের জন্য, কোন বয়সে এবং কিভাবে নিতে হবে। তথ্যের জন্য, আমরা আপনাকে বলে রাখি যে আপনি যদি আপনার খামারে বাচ্চা নিয়ে আসেন, তবে ৬ দিন পরেই টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ।
আরও পড়ুনঃ মুরগি ও হাঁস পালন ছেড়ে পাখিটি পালন করুন, কম খরচে বেশি লাভ পাবেন
মুরগির রোগের নাম সমূহ
রানিক্ষেত রোগ–New Castle Diseases
মুরগির প্যারামিক্রো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রানিক্ষেত রোগ মুরগির খামারের সর্বাধিক ক্ষতি কর রোগ গুলার মধ্য অন্যতম।সমস্ত বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হয়।আমদের দেশে শীত ও বসন্ত কালে এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
ফাউল কলেরা – Fowl cholera
ফাউল কলেরা এই রোগ টি একটি খুব পরিচিত রোগ।পাস্তরেলা মাল্টাসিভা নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ । এই ব্যাকটেরিয়াটি ফাউল কলেরা রোগের জন্য দায়ী।বয়সক মোরগ ও মুরগি দের এই রোগ বেশি দেখা যায় । আত্যাধিক গরমে এই রোগ বেশি দেখা যায় ।এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
আরও পড়ুনঃ মাছের পরিচর্যা: মাছের প্রধান রোগ এবং তার প্রতিকার
মুরগির আফলাটক্সিন Aflatoxin
Aspergillus flavus এবং Aspergillus paracytius নামক ফাঙ্গাস সমূহ পোল্ট্রি খাদ্যে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে যেগুলোকে মুরগির আফলাটক্সিন বলা হয়। সম্মিলিতভাবে এ বিষ বা টক্সিনকে মাইকোটক্সিন বলা হয়। ফাঙ্গাস কর্তিক খাদ্য এবং বিভিন্ন খাদ্য উপাদান হতে পুষ্টি সংগ্রহের সময় বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে উপজাত হিসেবে মাইক্রোটক্সিন তৈরি হয়।