গরুর দুধ বাড়ানোর উপায় আমাদের দেশের মধ্যে একটি কথা প্রচলিত আছে আর তা হলো গবাদি পশুদের বাটে দুধ নেই। দুধ মেলে তার মুখে। অর্থাৎ ভালোভাবে খেতে দিলেই বেশি পরিমাণ দুধ পাওয়া যাবে।
দুধের উৎপাদন বাড়াবেন যেভাবে
প্রসবকালে গাভীর সুস্বাস্থ্য আশানুরূপ দুধ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাভী থেকে বেশি দুধ পেতে হলে গর্ভকালে সুষ্ঠু পরিচর্যা ও সুষম খাদ্য দেওয়া প্রয়োজন। প্রসবের দুই মাস আগে গাভীর দুধ দোহন অবশ্যই বন্ধ করে দিতে হবে। মোট দুধ উৎপাদনের ৪০% ওলানের সামনের অংশের বাঁট এবং ৩০% পেছনের অংশের বাঁট থেকে পাওয়া যায়। গাভীর ওলানের বাঁট অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাই পিরিয়ড
ড্রাই পিরিয়ড বলতে সেই সময়কে বোঝায় যখন গাভীর বাছুর বড় হওয়ার পর থেকে পুনরায় গর্ভবর্তী হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কে। এ সময় সাধারণত ৫০-৬০ দিন হলে ভালো হয়। এ সময়ে গাভীর তার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং পরবর্তী বাছুরের জন্য নিজের দেহকে সুষ্ঠুভাবে তৈরি করতে পারবে। আজ এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ড্রাই পিরিয়ড বৃদ্ধি পেলে দুধ উৎপাদন বাড়ে।
প্রাকৃতিক উপায়ে গরুর দুধ বৃদ্ধির কৌশল আমাদের অনেকেরই জানা নেই। গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গরুর দুধ উৎপাদনের ওপর অনেক ক্ষেত্রেই লাভবান হওয়া নির্ভর করে। তবে অনেকেই প্রাকৃতিক উপায়ে গরুর দুধ বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে জানেন না। আসুন জেনে নেই প্রাকৃতিক উপায়ে গরুর দুধ বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে-
আরও পড়ুনঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে গরুর দুধ বৃদ্ধির কৌশল
খাদ্য তৈরির শুরুতেই কড়াই বসিয়ে তাতে ২৫০ গ্রাম সরিষার তেল ভালো করে গরম করে নিতে হবে।এরপর তেল গরম হয়ে এলে তাতে হলুদ ভালো করে ভেজে নিতে হবে যাতে খয়েরী বা কালচে হলুদ রঙ ধারণ করে।এরপর তেল ঝড়িয়ে হলুদ গুলি একটু ঝরঝরে করে নিতে হবে। এবার হলুদগুলি হামান দিস্তার সাহায্যে ভালো করে গুঁড়া করে নিতে হবে।এরপর একটা পাত্র নিয়ে হলুদের গুঁড়া এতে রেখে লাল চিনি বা আখের গুড় এবং বাকী ৭৫০ মি.লি সরিষার তেল ও যেই তেলে হলুদগুলি ভাঁজা হয়েছিল সেই অবশিষ্ট তেলসহ সব উপাদান গুলি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। হবে। এবার এটা ঠান্ডা ও শুক্না জায়গায় কিংবা বয়্যাম বা পাত্রে ৭ দিন রেখে দিতে হবে। আর এভাবেই তৈরি হল গরুর দুধ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য ।
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এই খাদ্যটিকে ৭ দিন পর সকালে গাভীকে ১০০ গ্রাম করে খাওয়াতে হবে। গাভী এই খাদ্যটি বেশ যত্ন সহকারেই খাবে। এই খাদ্য নিয়মিত খাওয়ালে গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে অনেকগুনে।
আরও পড়ুনঃ
এছাড়াও গাভীকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। বাছুর প্রসবের পর গাভীকে সঠিকভাবে গোসল করাতে/ পরিষ্কার করতে হবে। শীতের দিন হলে হালকা গরম পানি দিয়ে হলেও তা পরিষ্কার করতে হবে। যা দেহের বহিঃপরজীবী দূর করতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আর তাপমাত্রার সাথে দুধ উৎপাদন এর একটা সম্পর্ক রয়েছে।