বর্তমানে ছাগল পালনের ব্যবসা খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে। ছাগলের এই জাতটি মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ জেলার লাতুর, তুলজাপুর এবং উদগীর তালুকের স্থানীয়। এই জাতের নাম ওসমানবাদের উৎপত্তিস্থল থেকে নেওয়া হয়েছে।
ওসমানাবাদী ছাগল প্রধানত আহমেদনগর, লাতুর, পারভানি, ওসমানাবাদ, সোলানপুর এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের অন্যান্য অনেক জেলায় পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এবং আরও কয়েকটি রাজ্যেও এই ছাগলের জাত পাওয়া যাচ্ছে।
ওসমানবাদী ছাগল মাংস ও দুধ উভয়ই উৎপাদনের জন্য উপযোগী। এগুলি প্রধানত মাংস উৎপাদনের জন্য লালন-পালন করা হয়, কারণ এই জাতের সবচেয়ে ভালো মানের মাংস পাওয়া যায়। ওসমানবাদী ছাগলের মাংসের গুণগত মানের কারণে ভারতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া এটি উন্নত মানের ত্বকও তৈরি করে। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খামারিরা ওসমানবাদী ছাগলকে প্রকৃত জাত হিসেবে অভিহিত করে, কারণ এর খাদ্য ও পরিচর্যার জন্য তেমন কোনো খরচ হয় না।
ওসমানবাদী ছাগলের বৈশিষ্ট্য
ওসমানবাদী ছাগল মাঝারি থেকে বড় আকারের হয়।এদের গায়ের রঙ ভিন্ন হয়, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওসমানবাদী ছাগলের গায়ের রঙ কালো হয়। যদিও বাদামী, সাদা বা দাগযুক্ত রংও পাওয়া যায়।
ওসমানবাদী ছাগলের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা
অন্যান্য ছাগল জাতের মতো ওসমানবাদী ছাগলের গর্ভকালীন সময়কাল ৫ মাস। প্রায় ৪ মাস স্তন্যপান করানোর সময়কালে গড়ে প্রতিদিন ০.৫ থেকে ১.৫ কেজি দুধ দেয়।
ওসমানবাদী ছাগল আয়ের একটি ভালো উৎস
চাষী ভাইয়েরা ওসমানবাদী জাতের ছাগলকে অন্যান্য ছাগলের তুলনায় অনুসরণ করে, তাই এটি আপনার আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে। উল্লিখিত হিসাবে, এই জাতের ছাগলের মাংস এবং দুধের চাহিদা বেশি, তাই এটি গবাদি পশু মালিকদের জন্য একটি ভাল বিকল্প।