গত কয়েক বছরে ভারতের মৎস্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করছে। এছাড়াও কিছু রাজ্যে মৎস্য চাষের জন্য অনুদানও দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ ভারতেও চিংড়ি ব্যাপকভাবে জন্মে।
যদিও অতীতে এর চাষের জন্য সমুদ্রের জলের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণার কারণে, এটি স্বাদু জলেও চাষ করা সম্ভব হয়েছে। মনে রাখবেন পুকুরের জল যেন সম্পূর্ণরূপে দূষণমুক্ত হয় এবং মাটি যেন কার্বনেট, ক্লোরাইড, সালফেটের মতো ক্ষতিকর উপাদান থেকে মুক্ত থাকে। পুকুরের জলের pH মান বজায় রাখতে চুন ব্যবহার করতে থাকুন। এ ছাড়া পুকুরে জল ভরাট ও নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে।
নার্সারিতে প্রায় 20,000 বীজ প্রয়োজন। এপ্রিল-জুলাই ফসল কাটার সেরা মাস। চিংড়ি পালনের জন্য প্রথমে পুকুরে নার্সারি তৈরি করা হয়। তবে তার আগে চিংড়ির বীজ আহরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা খুবই জরুরি। প্রথমত, চিংড়ির বীজের সমস্ত প্যাকেট পুকুরের জলে ভরে সেখানে 15 মিনিট রেখে দিন যাতে প্যাকেটের জল এবং পুকুরের জলের মধ্যে তাপমাত্রা এক হয়ে যায়।
এরপর চিংড়িগুলোকে সংরক্ষণের জন্য ছোট গর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। যখন এই চিংড়ির ওজন হয় 3 থেকে 4 গ্রাম। তারপর খুব সাবধানে নিয়ে মূল পুকুরে ফেলে দিন। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, পুকুরে আনা চিংড়ির মাত্র ৫০ থেকে ৭০ শতাংশই বেঁচে থাকে। এটি প্রায় 5-6 মাসের মধ্যে সঠিকভাবে বিকাশ করে। সেক্ষেত্রে পুকুর থেকে তুলে ফেলতে হবে। এক একর জল সহজেই 2-3 লক্ষ টাকা লাভ করতে পারে, বলছেন কৃষিবিদরা।।
আরও পড়ুনঃ মৎস্য চাষে সাফল্যের দিশা পেতে অনুসরণ করুন এই পদ্ধতির