আপনি যদি গ্রামে বসবাস করে এবং কম খরচে একটি ভাল ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে তিতির চাষের ব্যবসা আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এই প্রতিবেদনে আপনি তিতির পালন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
এটি লক্ষণীয় যে তিতির পালনের ব্যবসা আজ থেকে আরও বেশি সংখ্যক লোককে আকৃষ্ট করছে।আপনি আপনার বাড়ির একটি ছোট অংশ থেকেও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি সহজেই ৫ থেকে ৬টি তিতির পাখি পালন করে এটি শুরু করতে পারেন। আপনি শুধুমাত্র কয়েকটি তিতির পাখি শুরু করে একটি ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
এইভাবে তিতির পালন করুন
একটি তিতির পালন করার আগে, আপনাকে তিতির অবশ্যই এর সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।একটি স্ত্রী তিতিরের হ্যাচিং সময়কাল প্রায় ২৮ দিন। এছাড়াও, একটি স্ত্রী তিতির একসাথে ১০-১৫টি ডিম পাড়ে।
স্বাস্থ্যকর ডিমের প্রক্রিয়াটিও কৃত্রিমভাবে করা হয়, তবে এর জন্য একটি ইনকিউবেটর ব্যবহার করতে হবে। তিতির ছানা ডিম থেকে বের হয়ে আসার পর তাদের যত্ন ও লালন-পালনের ব্যবস্থা খুব যত্ন সহকারে করতে হবে। কারণ তিতির ছানার মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হয়। তাই তাদের খাবার-দাবার ও জলের যত্ন নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ
বাজারে ছোট তিতির ছানার চাহিদা
বাজারে ছোট তিতির ছানার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।তিতির ছানার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন হয়।
তিতিরা ঘর-বাড়ির রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসা ছোট পোকামাকড়, কেঁচো এবং উইপোকা খায়। এগুলি সমস্ত ছানার জন্য প্রোটিনের একটি ভাল উৎস।
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তিতির ডিম
আমরা আগেই বলেছি যে, স্ত্রী তিতির ডিম পাড়ার ক্ষমতা বেশি। একটি স্ত্রী তিতির ৩০ সপ্তাহে ডিম পাড়া শুরু করে এবং তারপর প্রথম ডিম পাড়ার ২৪ সপ্তাহ পরে উৎপাদন শুরু হয়। তিতিরকে সঠিকভাবে খাওয়ালে ডিমের ধারণক্ষমতা বাড়ানো যায়। এর ডিম রঙিন এবং ওজন প্রায় ৮৫ গ্রাম হয়। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট এবং মিনারেল পাওয়া যায়। কুসুমে প্রতি গ্রামে ১৫-২৩ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল থাকে।
আরও পড়ুনঃ
বাজারে মাংস থেকে আয়
আপনি যদি মুরগির মাংস খান, তাহলে বুঝবেন মুরগির মাংস অনেক ভারী, কিন্তু তিতির ও তাদের ছানার মাংস খুবই হালকা। তাই বাজারে তাদের মাংসের চাহিদা বেশি।
প্রতি ১০০ গ্রাম তিতিরের মাংসে ২৪ শতাংশ প্রোটিন, ৬ শতাংশ চর্বি এবং ১৬২শতাংশ ক্যালরি পাওয়া যায়। পাশাপাশি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং সোডিয়ামও তিতিরের মাংসে পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬, বি১২।
যদি রোজগারের কথা বলি, তাহলে ১০-২০ কেজির তিতির বাজারে প্রায় ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়।