১৯৯৬ সাল থেকে ভারতবর্ষ দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। বর্তমানে আমাদের দেশ ১৬৫ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদন করে, ভারত সরকারের “নীতি আয়োগ যোজনা” অনুসারে প্রায় ১৮৮ মিলিয়ন টন দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ধার্য করা হয়েছে,সুতরাং এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বোঝাই যাচ্ছে যে দুধের বিপুল চাহিদা বাজারেও আছে। এই বিপুল চাহিদার হাত ধরেই দুগ্ধব্যবসা বিকশিত হতে পারে এবং তা যে গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তা বলাই যেতে পারে। নদীয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ অমিতকুমার বর্মন ও ডঃ প্রদীপ কুমার রায় এর মতে যেহেতু দুগ্ধশিল্প পুরোটাই নির্ভর করে গো-মহিষপালনের উপর তাই এক্ষেত্রে কতগুলি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্বন্ধে জেনে নেওয়া দরকার।
তাদের মতে গরু ও মোষ পালন সম্বন্ধে চাষিভাইদের কোন সম্যক ধারনা থাকে না ফলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই ব্যবসা শুরুর আগে কতগুলি বিষয়ে আলোকপাত করার কথা বলেছেন- যেমন পরিকাঠামো খাতে ও গোখাদ্য বাবদ একটা বড় অংশ খরচ হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে,অধিকাংশ চাষিভাইরা হিসেব করেন না মোট কতটা ব্যয় আর কতটা লাভ হল, প্রজনন পদ্ধিতে এবং প্রজননের সময় সম্বন্ধে অধিকাংশেরই খুব একটা স্বচ্ছ ধারনা থাকে না, যেখানে প্রজননের উপর নির্ভর করে দুধ উৎপাদন কিন্তু এই সম্পর্কে বেশিরভাগ চাষিভাইয়ের ধারনা নেই এবং সরকারের তরফ থেকেও কোন ঘোষণা থাকে না, এছাড়াও গোপালনের জন্য কোঠর পরিশ্রম, সঠিক যত্ন,পরিচালন পদ্ধতি এবং সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন আছে। যদি কোন ব্যাক্তি এই ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে চায় তবে সর্বপ্রথম অল্প কয়েকটি গরু অথবা মোষ নিয়ে ব্যবসা শুরু করাই ভালো এক্ষেত্রে যেমন পুঁজি মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে, তেমনি ব্যবসার খুঁটিনাটি বিষয়গুলির সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে জানা যাবে সাথে ব্যবসার ঝুঁকির দিকটাও এড়ানো যাবে।
তথ্যসূত্র
ডঃ অমিত কুমার বর্মন
সহকারী অধ্যাপক (দুগ্ধশিল্প প্রশিক্ষণ বিভাগ, মোহনপুর, নদীয়া)
ডঃ প্রদীপ কুমার রয়
সহযোগী অধ্যাপক (দুগ্ধশিল্প প্রশিক্ষণ বিভাগ, মোহনপুর, নদীয়া)
- জয়তী দে
Share your comments