কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দেশের গ্রামাঞ্চলে পশুপালন হয়ে উঠেছে আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া পালনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বিপুল সংখ্যক কৃষক। সরকার কৃষকদের এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। অনেক কৃষক পশুপালন শুরু করলেও সঠিক পরিচর্যার অভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। এখানে আমরা আপনাকে বলব কোন ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে আপনি আপনার গরু ও মহিষকে সুস্থ রাখতে পারবেন। এ ছাড়া কীভাবে এদের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়াতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ আজই কাঁকড়া চাষের ব্যবসা শুরু করুন, কৃষকরা কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করেন
পশুর খাদ্যে লবণ কেন অন্তর্ভুক্ত করবেন?
শরীরে লবণের অভাবের কারণে মানবদেহে আয়রন, কপার, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়ামসহ সব ধরনের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এ কারণে মানুষ নানা রোগের শিকার হয়। প্রাণীদেরও একই রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণের অভাবে দুগ্ধজাত পশুদের প্রায়ই অসুস্থ দেখায় এবং তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া লবণের অভাবে অনেক সময় গরু-মহিষও মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ লাম্পি সংক্রমিত গবাদি পশুর দুধ খাওয়া কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরু ও মহিষের জন্য লবণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে তাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিক ভাবে কাজ করে । হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকায় ক্ষিদে বেশি অনুভূত হয়। এর ফলে দুগ্ধজাত পশু সুস্থ থাকে এবং তাদের দুধ দেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দুগ্ধজাত পশুর দুধ দোহন ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন লবণের দ্রবণ দিতে হবে।
গরু-মহিষকে সরিষার তেল দিলে উপকার হয়?
সরিষার তেলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চর্বি থাকে। যা শরীরে শক্তি জোগায়। গরু-মহিষের বাচ্চা হলে সরিষার তেল দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে মহিষের বাচ্চাদের বিকাশ দ্রুত হবে।
তবে পশুকে প্রতিদিন সরিষার তেল দিলে উপকার হয় না। পশুরা অসুস্থ হলে বা শক্তির মাত্রা কমে গেলেই সরিষার তেল দিতে হবে। এছাড়াও, পশুদের একবারে ১০০-২০০ মিলি গ্রাম তেলের বেশি দেওয়া উচিত নয়।