কী কী চারামাছ মজুত করা যেতে পারে ?
১) পুকুরে এক জাতীয় মাছ না ছেড়ে যদি সমস্ত স্তরের মাছ ছাড়া হয় তাহলে খুবই ভালো হয়। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে মাছগুলো যেন সুস্থ ও সবল হয় এবং উপযুক্ত সংখ্যায় ও অনুপাতে যেন ছাড়া হয়।
২) বিঘাপতি কুড়ি হাজার করে চারা মাছ মজুদ করা যেতে পারে তবে তার মধ্যে ১০,০০০ কার্পজাতীয় ও ৫০০০ দেশীয় মাছ ও ৫০০০ চিংড়ি বা অন্যান্য জাতীয় মাছ মজুদ করা যেতে পারে।
৩) তবে এক্ষেত্রে যদি পুকুরটি বেশ পুরনো হয় তাহলে সেই সমস্ত মাছ ছাড়া যেতে পারে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি ও বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষমতা ও যেন বেশি হয়।
আরও পড়ুনঃ পুরনো পুকুর ই পারে অভ্যন্তরীণ মাছের উৎপাদন বাড়াতে-পর্ব এক
২) বিঘাপতি কুড়ি হাজার করে চারা মাছ মজুদ করা যেতে পারে তবে তার মধ্যে ১০,০০০ কার্পজাতীয় ও ৫০০০ দেশীয় মাছ ও ৫০০০ চিংড়ি বা অন্যান্য জাতীয় মাছ মজুদ করা যেতে পারে।
৩) তবে এক্ষেত্রে যদি পুকুরটি বেশ পুরনো হয় তাহলে সেই সমস্ত মাছ ছাড়া যেতে পারে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি ও বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষমতা ও যেন বেশি হয়।
৬) চিংড়ি হিসেবে গলদা চিংড়ি এবং অন্যান্য মাছ হিসাবে ব্ল্যাককার্প, গিফট তেলাপিয়া ,পাঙ্গাস ,গ্যাসকার্প ,কালবোস ,জাপা-পুঁটি, মৌরলা, চেলা ইত্যাদি মজুদ করা যেতে পারে।
পরিচর্যা:
শুধুমাত্র পুকুরে মাছ মজুদ করলে হবে না, সেই মাছকে খাদ্যপোযোগী করে তোলার জন্য কিছু পরিচর্যার প্রয়োজন সেগুলি হল -
১) চেষ্টা করতে হবে পুকুরের জলকে যত বেশি আন্দোলিত করা যায় ততই ভালো এক্ষেত্রে বাড়ির থালা-বাসন ধোয়া, স্নান করা প্রভৃতি কাজগুলি পুকুরে করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পুরনো পুকুর ই পারে অভ্যন্তরীণ মাছের উৎপাদন বাড়াতে-পর্ব দুই
২) সারাদিনে একবার করে হাতে তৈরি খাবার পুকুরে দিতে হবে।এক্ষেত্রে খাবারটি যদি মন্ড আকারের হয় তাহলে সকালের দিকে পুকুরের একটি স্থানে একটি পাত্রে খাবার দিলে ভালো হয় , তাছাড়া দানা আকারের খাবার হলে পুকুরের চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে ।কারণ সকালের দিকে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন এর মাত্রা বাড়তে থাকে।
৩) মাসে একবার করে ফাইভ পি পি এম হারে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট প্রয়োগ করা যেতে পারে তবে এক্ষেত্রে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট-এর দ্রবণটি বাতিল হওয়া স্যালাইন বোতলের মধ্যে ঢুকিয়ে পুকুরের দুই থেকে তিনটি জায়গায় ঝুলিয়ে দিলে খুব ভালো হয়। যাতে এক জায়গায় না ডেলে, ধীরে ধীরে দ্রবণটি জলে মিশে যেতে পারে ।
৪) মাসে একবার করে বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা যেতে পারে (চুন দেওয়ার পদ্ধতিটি পাশের চিত্রে দেখানো হলো)।" চুন দেওয়ার অশেষ গুন সব তরকারিতে যেমন নুন, মাসে মাসে দিলে চুল তরোগের মুখে পড়ে আগুন"।
৫) মাসে একবার বা যদি সম্ভব হয় ১৫ দিনে একবার করে নেটিং করতে হবে, এক্ষেত্রে বাড়ির ক্ষেপলা জাল(কাষ্টনেট )বা মশারি নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬) মাসে একবার করে চেনিং করতে হবে এক্ষেত্রে শুকনো ডাল নিয়ে অথবা যে কোন উপায়ে পুকুরের তলার পাঁকটিকে ঘেঁটে দিতে হবে।
৭) যদি সম্ভব হয় ১৫ দিনে একবার করে পাম্পের মাধ্যমে পুকুরের জলকে এরিয়েশান করা যেতে পারে এতে মাছের অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয় তবে এক্ষেত্রে ভোরের দিকে করলে খুবই ভালো হয় কারণ ওই সময় জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে।