পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 31 May, 2023 2:05 PM IST

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ এখন যে কোনো চাষ – বিশেষত; মাছ চাষ ক্রমেই ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন কারণের মধ্যে চাষের বিভিন্ন সামগ্রী, জৈব-অজৈব সার, মাছের খাবার সব কিছুরই দাম সর্বত্রই ঊর্ধ্ব-মুখী। এছাড়াও আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাবে চাষের ফসল বাজারীকরনও ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে আনুষাঙ্গিক বাড়তি খরচও আছে। জল দূষণের কারণে ও জল-বায়ুর আকস্মিক পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির পরিমাণও বেড়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপটে বিপননেও অসুবিধে দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়তই। এছাড়া অন্তর্ঘাতমূলক কাজকর্মের দরুনও চাষে সম্পূর্ণ ফসল তোলাও কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে যায় কখনো। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক সত্বেও এসব কিছু বিষয় মাথায় রেখে উত্‍পাদনে খরচে সাশ্রয়ের কথা ভাবতেই হবে, তবেই এক জন সাধারণ চাষী স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বাজারের উপর নির্ভরশীলতা  কমাতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ মোহনায় মাছ চাষের সংক্ষিপ্ত প্রণালী

অনেক সময় এমনও লক্ষ্য করা যায় যে, মাছ চাষ সফল ভাবে অতিবাহিত করেও, এমন কিছু প্রাণঘাতী রোগের দেখা দেয় যাতে করে বহু মাছের অকালে প্রাণ হারায় সাথে সাথে তা চাষীর জীবনে দেখে আনে চরম আর্থিক বিপর্যয়। এর মূল কারণ হল এই যে, একবার মাছকে চাষের জলে পরিচিত করালে, তাকে ঔষধ খাওয়ানো বা সেই রোগগ্রস্থ মাছকে চিকিত্‍সা করা বাস্তবে মোটেই খুব সহজ কাজ নয়।

আরও পড়ুনঃ মোহনায় মাছ চাষে গ্রামীণ বা উপকূলবর্তী মহিলাদের ভূমিকা

মোহনায় মাছ চাষের সংক্ষিপ্ত প্রণালী

 

ফলে, ‘প্রতিরোধ রোগের চিকিত্সার চেয়ে বেশী ভাল এই নীতি মাথায় রেখে, চাষ শুরু করার প্রথমেই বা তা চলা-কালীন ক্রমে, মাসে একবার করে হলেও নিম ও হলুদ মিশ্রিত জল (কাঠা পিছু এক লিটার যাতে থাকবে ৫০ গ্রাম হলুদ ও ৫০ গ্রাম কচি নিম পাতা বাটা) – স্য়ালাইন বোতলের সাহায্যে ধীর লয়ে, পুকুরে দেওয়া দরকার এতে রোগ বালাই সংক্রমণ সম্ভাবনাও কমানো যাবে, ও সাথে সাথে অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সাহায্য করে

নিম ও হলুদ বাটা 

এছাড়াও যারা মাছেদের জীবনে এক বাড়তি বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে তারা হল কিছু অনিচ্ছাকৃত জনমন কিছু পোকা-মাকড় – যারা অনেক সময় তাদের দেহের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মাছেদের শরীরের সংস্পর্শে আসলে মাছেদের শরীরে বিশেষ কিছু নন প্যাথলজিকাল উপসর্গের উদ্রেক হতে পারে। সেই সমস্ত পোকা-মাকড়ের উপদ্রব কমাতে পুকুরে কয়েকটি দেশী মাগুর কিংবা ফলুই কিংবা শিঙ্গি ছেড়ে দিলে তারা সেই পোকা-মাকড় খেয়ে কিছুটা সমস্যা কমাতে পারবে। এই মাছ গুলিকে ধরতে না পারলেও তেমন ক্ষতি নেই কারণ পরবর্তি কালেও অবাঞ্ছিত পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে– যা একটি অভিজ্ঞতালব্ধ পদ্ধতি একটি।

English Summary: Pest Control in Fish: Dosing Technology
Published on: 31 May 2023, 02:05 IST