শূকর পালনে লাভ বেশি, কারণ - এদের জন্য নগদ খরচের পরিমাণ খুব অল্প। আর ১০টি শুকরী ও ১ টি শূকর পালন করলে বছরে প্রায় ১৬০টি বাচ্চা পাওয়া যায়। শূকরের বাজারও খুব ভালো। অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণীর তুলনায় শূকরই তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বাড়ে। ওজনেও তাড়াতাড়ি বাড়ে। এরা অল্প বয়সে বাচ্চা দেয় এবং বছরে ২-৩ বার বাচ্চা দেয়। হিসেব করলে দেখা যায় যে প্রতি কেজি ওজন বাড়ার জন্য এদের প্রয়োজন মাত্র ৩-৪ কেজি সুষম খাদ্য। শূকরের দেহের ওজনের প্রায় ৬০-৮০ ভাগ মাংস পাওয়া যায়, যেখানে ছাগল-ভেড়ার পাওয়া যায় ৫০-৫৫ ভাগ আর গরুর ৫০-৬০ ভাগ। ৬ মাসের মধ্যেই খুব তাড়াতাড়ি ও ভালো মুনাফায় শূকর বাজারজাত করা যায়। তাই অল্পসময়ে লাভ দেখা যায়। এদের মল-মূত্র মূল্যবান সার হিসাবে ব্য়বহিত হয় । কৃষি কাজে ও মৎস্য চাষে শূকর খামার অন্যতম সহায়ক। শূকরের চামড়া নানারকম হাল্কা চামড়ার জিনিস তৈরিতে কাজে লাগে। তাই শূকর পালন একটি কম পরিশ্রমের লাভজনক ব্যবসা।
সরকার অনেক নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্য়মে শূকর পালনকে উৎসাহিত করতে চাইছে।সেই কারনে শূকর পালন করতে চাইলে আপনি সরকারী প্রকল্পের মাধ্যমে ঋন নিয়ে একটি ভাল ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি শূকর পালন করতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন।
শূকর পালন ব্যবসা কি?
শূকর পালন এমন একটি ব্যবসা, যাতে আপনি কম খরচে বেশি লাভ করতে পারবেন । অন্যান্য পশুপালন ব্যবসার মতো, এই ব্যবসায় খুব বেশি খরচ হয় না বা খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। শূকর এমনই একটি প্রাণী, যার বৃদ্ধিশীলতা খুব বেশি।একটি স্ত্রী শূকর একবারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১৪ টি বাচ্চার জন্ম দিতে পারে। ফলে আপনি এই ব্য়বসা থেকে প্রচুর লাভ পারবেন, কারণ এর মাংস ও অন্যান্য কাজের জন্য বাজারে শূকরের চাহিদা বেশি।
আরও পড়ুনঃ গরুতে 40,783 এবং মহিষে 60,249 টাকা পাওয়া যাবে, এই স্কিমের সম্পর্কে রইল বিস্তারিত
পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য
-
রাজ্যে বেকারত্ব দূর করা।
-
মানুষ কম খরচে বেশি লাভ পায়।
-
মানুষকে আত্মনির্ভরশীল ও ক্ষমতায়িত করা।
-
এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সাথে সরকারকে সরাসরি সংযুক্ত করা হচ্ছে।
সরকার শূকর পালনে ভালো ভর্তুকি দিচ্ছে
চাষিরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে শূকর পালন একটি ভাল বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।কারন এই প্রকল্পের মাধ্য়মে সরকার শূকর পালনে চাষীদের ভালো ভর্তুকি দিচ্ছে। যাতে চাষীরা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারে।
শূকর পালন ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে আপনি ঋণ পেতে পারেন।এই ঋণের সুদের হার এবং মেয়াদ খুবই কম হয়। তথ্য অনুযায়ী, ঋণের পরিমাণে সুদের হার বছরে প্রায় ৬ থেকে ৯ শতাংশ। আপনি যদি শূকর পালন ব্যবসা করতে চান কিন্তু টাকার অভাবে শুরু করতে পারছেন না তাহলে আপনি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।এই প্রকল্পের মাধ্য়মে সরকার থেকে আপনি ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পেতে পারেন।
আপনি আপনার এগ্রিকালচার প্রজেক্ট অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে সুদের হার মুকুফের সুবিধা পেতে পারেন। এই প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে, আপনি আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন৷
আরও পড়ুনঃ তিতির পালন করে কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জন করুন
প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা
-
ভারতের নাগরিক হতে হবে।
-
ঋণের জন্য ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
-
শূকর ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার এলাকার কর্পোরেশন অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।
ঋন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
-
আধার কার্ড
-
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অফিসার কর্তৃক জারি করা অনুমতিপত্র।
-
ব্যাংকের হিসাব
-
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
-
জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র
এই প্রকল্পটি এখনও অনলাইনে করা হয়নি, তাই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, আপনাকে শুধুমাত্র আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কে অফলাইনে আবেদন করতে হবে।