নবজাতক বাছুরের যত্ন নেওয়া একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাদের জন্মের পর কয়েক মাস অবধি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং, জন্মের পর থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত তাদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
দেখে নেওয়া যাক কীভাবে নবজাতকের যত্ন করবেন ?
নবজাতক বাচ্চাদের ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সুতরাং তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ডায়রিয়া তাদের জীবনের পক্ষে বিপজ্জনক এবং এর থেকে বাছুরের মৃত্যু হতে পারে। অতিরিক্ত দুগ্ধ গ্রহণ, পেটের সংক্রমণ, পেটে কৃমি ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে নবজাতক বাছুরের ডায়রিয়া হতে পারে।
সতর্কতা ও চিকিত্সা: নবজাতককে উপযুক্ত পরিমাণে দুগ্ধ পান করাতে হবে। ডায়রিয়া হলে সেক্ষেত্রে কোনও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
অনেক সময় পেটে কৃমির কারণে গরু-মহিষের নবজাতক বাছুর দুর্বল হতে শুরু করে।
প্রতিকার ও চিকিত্সা: পিপারাজিন নামে একটি ওষুধ এর নিরাময়ের জন্য উপযোগী। একই সাথে গর্ভাবস্থার অন্তিম সময়কালে কৃমির সংক্রমণ নাশ করতে গরু-মহিষ কে পিপারাজিন লিকুইড বা ট্যাবলেটটি প্রতি দেড় মাসে একবার ৬ মাস সময় পর্যন্ত দেওয়া ভাল।
নবজাতকের বাছুরের নাভীর সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি থাকে। সংক্রমণের কারণে নাভিতে ফোলা ভাব দেখা যায়।
সতর্কতা এবং চিকিত্সা: এই রোগটি হালকাভাবে কখনই নেবেন না, এর থেকে বাছুরটির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এই রোগের সংক্রমণ হলে তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ পশুচিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করুন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments