এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 June, 2019 6:15 PM IST

পোলট্রি কথাটির অর্থ বিভিন্ন প্রজাতির অর্থনৈতিক পাখি (যেমন হাঁস, মুরগী, কোয়েল, এমু, টার্কি ইত্যাদি)। ভারতে এই পোলট্রি পালনের ৯০% হল মুরগী পালন কারণ প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের উৎস বলে মুরগীর মাংস ও ডিমের চাহিদা যথেষ্ট বেশী। তবে ইদানিং কোয়েল, টার্কি ইত্যাদির চাহিদা বেড়েছে। আমাদের দেশে পোলট্রি পালন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিশেষত এটি গ্রামীন যুবক যুবতিদের কর্মসংস্থান যোগাতে সহায়তা করে।

মুরগী পালন পদ্ধতি প্রধাণত তিন প্রকারের হয়, যেমন –

(১)মুক্তাঙ্গন পদ্ধতি (Free Range System) -  এই পদ্/দতিতে সাধারণত দেশি মুরগীই চাষ করা হয়। তবে প্রতি মুরগীকে গড়ে ৩৫ -৫০ গ্রাম করে প্রতিদিন সুষম দানা খাদ্য খাওয়ালে ডিমের পরিমাণ বাড়ে। এই খাবার বাজারে কিনতে পাওয়া যায় আবার স্থানীয় ভাবে তুলনামূলকজ কম খরচে বাড়িতেও বানানো যায়, যেমন –

  1. খুদ বা গম ভাঙ্গা বা ভুট্টা ভাঙ্গা – ৩২%
  2. চালের কুড়ো – ২৫%
  3. সরষের খোল – ৪০%
  4. খনিজ পদার্থ – ২%
  5. খাদ্য লবন – ১%

মোট – ১০০  %

এই ১০০ কেজি মিশ্রণের সঙ্গে ভিটামিন (A, B2, D2) ২৫ গ্রাম করে মেশাতে হবে।

(২) অর্ধ-আবৃতাঙ্গন পদ্ধতি(Semi-intensive System) – এই পদ্ধতিতে মুরগী স্বাধীনভাবে বিচরণ করলেও একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের বাইরে যেতে পারে না। এই পদ্ধতিতে মুরগীর ঘর তৈরী করতে হয় ও ঘর সংলগ্ন কিছুটা জায়গা ঘেরা থাকে যাতে মুরগীগুলি স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারে।

(৩) আবৃতাঙ্গন পদ্ধতি (Intensive System) – এই পদ্ধতি আবার দুই প্রকারের –

(ক) ডিপলিটার পদ্ধতি(Deep litter System)

(খ) খাঁচায় মুরগী পালন ( Cage System)

ব্রয়লার মুরগীর কিছু ঔষধ –

  • ১ দিন – গ্লুকোজ (৫০গ্রাম), ইলেকট্রোলাইট (২০ গ্রাম) ও ডিসট্রেস পাউডার (০.৫)গ্রাম – ১০০ টি পাখির জন্য পানিয় জলে মেশাতে হবে।
  • প্রথম বা দ্বিতীয় দিন – মরেক্স রোগের টীকা।
  • ২-৪ দিন – সকালে জলে ভিটামিন ও বিকেলে জলে অ্যান্টিবায়োটিক
  • ৫-৭ দিন – পানীয় জলে ভিটামিন-A ও ভিটামিন-B কমপ্লেক্স।
  • ষষ্ঠ বা সপ্তম দিন – রানীক্ষেত রোগের টীকা
  • ১২-১৪ দিন - পানীয় জলে ভিটামিন
  • ১২ বা ১৪ দিন – গা                                                                                                             মবোর রোগের টীকা।
  • ১৫-২১ দিন – খাদ্য বা পানীয় জলে লিভার টনিক।
  • ২১ বা ২২ বা ২৩-তম দিন – রাণীক্ষেত রোগের প্রতিষেধক দীকা।
  • ২২ – ২৮ দিন – ককসিডিয়া নাশক ঔষধ প্রতিষেধক হিসেবে।
  • ২৯-৩২ দিন – সকালের জলে ভিটামিন ও বিকেলের জলে বা খাবারে লিভার টনিক
  • ৩৩-৩৫ দিন – জলে বা খাদ্যে লিভার টনিক

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

 

 

English Summary: Poultry-farming-can-generate-employment-for-rural-youths
Published on: 13 June 2019, 06:15 IST