মুরগির চেয়ে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন অধিক লাভজনক | ডিম-এর উদ্দেশ্যে এ জাতের হাঁস পালন করা হলেও ডিম পাড়ার পর স্ত্রী হাঁস এবং হাঁসাকে মাংস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ হাঁসের মাংসও মুরগির মতোই পুষ্টিকর। এই হাঁস কেবল খাবার ও গলা ডোবানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেলেই সহজ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পুকুর বা অন্যান্য জলাশয় ছাড়াই এ হাঁস পালন (Khaki Campbell Duck rearing) সম্ভব। এটি মূলত ইংল্যান্ডের হাঁস | খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সাড়ে ৪ মাস বয়স থেকেই ডিম দিতে শুরু করে এবং বছরে গড়ে প্রায় ২৫০- ৩০০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। এ জাত টানা ১-৩ বছর পর্যন্ত একই হারে ডিম পাড়ে।
আরও পড়ুনঃ Cultivation of Coloured Fish in tank রঙিন মাছের চাষে করুন দ্বিগুণ আয়
খাঁকি ক্যাম্পবেল বাচ্চার প্রতিপালন
বাচ্চা তোলার আগে আপনার প্রথম কাজ হবে বাচ্চা যেখানে থাকবে সেটা ঠিক-ঠাক করা। বাচ্চা হাঁস রাখতে হবে তারের জালের ওপর। এতে বাচ্চারা কম রোগ-ব্যাধিতে ভোগে। তারের জাল মেঝে থেকে দেড়ফুট মতো উঁচুতে থাকবে। ফলে মল মুত্র সহজে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া যাবে
হাঁস পালনে জলের প্রয়োজনীয়তা
হাঁস মূলত জলচর জীব। এই কারণে অনেকে মনে করেন পানি ছাড়া হাঁস পোষা সম্ভব নয়। তবে আমি এই বইতে পানি ছাড়া হাঁস পালনের কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম দেখিয়ে দিয়েছি। এতে করে হাঁস পালতে পানির প্রয়োজনীয়তা শুধূ খাবার সময়েই হবে। কারণ, এই ব্যবস্থায় ধরে বেঁধে হাঁস পুষলেও পানির প্রয়োজনীয়তা কথা ভুললে চলবে না।
আরও পড়ুনঃ তিমি মাছ হয়েও কীভাবে স্তন্যপায়ী প্রানী?
খাদ্য(Food)
যদি পুকুর, ডোবা বা জলাশয়ে হাঁস পালন করা যায় তবে হাঁস নিজেদের খাবারের অনেকটাই নিজেরাই সংগ্রহ করে নিতে পারে। সাধারণত এরা বাগান ও জলাশয় থেকে ঘাস,লতা-পাতা, পোকা-মাকড়, কেঁচো, শামুক, গুগলি এবং উদ্ভিদকণা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। শামুক ও গুগলি হাঁসের প্রিয় খাদ্য, যা আমিষ জাতীয় খাদ্যের চাহিদা অনেকটাই পুরণ করে থাকে।
বাচ্চা উৎপাদন(Breeding)
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস ডিমে সাধারণত তা দিতে চায় না। ফলে কুরচি মুরগির সাহায্যে ডিম ফোটানো হয়। একটি কুরচি মুরগি ৮-১০টি হাঁসের ডিমে একবারে তা দিতে পারে। তবে ব্যবসার জন্য বেশি পরিমাণে বাচ্চা উৎপাদন করতে হলে কৃত্রিম উপায়ে ডিম ফোটানোর যন্ত্র বা ইনকিউবেটরের সাহায্যে মুরগির ডিমের মতোই হাঁসের ডিমও ফোটানো সম্ভব।