ভারতীয় গরুর প্রজাতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে খ্যাত রাঠি প্রজাতি। এই প্রজাতির পালন অনেকেই করে থাকেন। রাজস্থানের শুষ্ক অঞ্চল থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের সীমান্ত, অনেক জায়গাতেই এই গরুর পালকে দেখা যায়। রাঠি প্রজাতির গরুকে রাজস্থানের কামধেনুও বলা হয়। এই প্রজাতির প্রতিপালন পশুপালকের জন্য যথেষ্ট লাভজনক।
রাঠি গরু থেকে দুধ উৎপাদন –
রাঠি জাতটি দেশী গরুর একটি খুব সুন্দর জাত। এর সাহিওয়াল প্রজাতের গরুর সাথে অনেক মিল রয়েছে। এই প্রজাতের গরু প্রতিদিন ২২ লিটার দুধ দিতে পারে। সুতরাং, স্পষ্টতই লক্ষণীয় যে, গবাদি পশুপালকরা এই জাতের গরু থেকে ভাল পরিমাণে দুধ পেতে পারেন। কারণ এই জাতের গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা আবহাওয়া এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল (Cattle Farm Management)। এই প্রজাতির গরুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এরা খাবার কম খায়, কিন্তু পরিবর্তে বেশি দুধ দিতে পারে। পশুপালকদের মতে, অত্যন্ত পরিশ্রমীও হয় এই জাতটি।
রাঠি গরুর বৈশিষ্ট্য -
-
রাঠি গরুর চামড়া খুব মসৃণ ও চকচকে হয়।
-
এরা মাঝারি আকারের হয়, শুভ্র বর্ণের গায়ে বাদামী বা কালো দাগ এদের বৈশিষ্ট্য ।
-
শিং মাঝারি আকারের এবং অভ্যন্তরে বাঁকা হয়।
-
চেহারা বেশ কিছুটা প্রশস্ত।
-
এদের লেজ দীর্ঘ হয়।
-
প্রাপ্তবয়স্ক রাঠি গরুগুলির ওজন প্রায় ২৮০ থেকে ৩০০ কেজি হয়।
-
এই প্রজাতির ষাঁড়ের ওজন ৩৫০ কেজি পর্যন্ত হয়।
রাঠি জাতের ষাঁড়গুলিও খুব পরিশ্রমী, এরা গরম আবহাওয়াতেও ১০ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে।
সব থেকে বড় সুবিধা হল এই গরু যে কোনও অঞ্চলে থাকতে পারে। তাই যে কোন আবহাওয়াতেই কৃষক এর পালন করতে পারবেন। আর এই প্রজাতি প্রতিদিন ২২-২৫ লিটার পর্যন্ত দুধ উৎপাদনে সক্ষম হওয়ায় এর থেকে পালক ভালো আয়ও করতে পারেন।
(Remedies for cattle) গরুর বিভিন্ন রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ও প্রতিকার
(Cow rearing) এই পদ্ধতিতে গো পালন করে রোজগার করুন অতিরিক্ত অর্থ