দুধ উৎপাদন ও অধিক বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা নির্ভর করে ছাগলের বংশগত বৈশিষ্ট্যের ওপর। তাই ছাগল পালনের উদ্দেশ্য নির্ভর করে শুধু মাংসের জন্য, শুধু দুধের জন্য এবং দুধ ও মাংস দুটির জন্য। এর জন্য প্রথমেই ছাগলের জাত নির্বাচন করতে হবে। আবার একই জাতের ছাগলের বিভিন্ন দৈহিক আকৃতির জন্য তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বিভিন্ন হয়, তাই ছাগল বাছাইয়ের জন্য আকৃতিও স্মরণে রাখতে হবে। এছাড়া সঠিক সময়ে গরম হবে। প্রতি দুই বছরে তিন বার বাচ্চা দেবে। ১৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রথম বাচ্চা দেবে। গড়ে কমপক্ষে ৩০০ কেজি দুধ দেবে ২০০-২৫০ দিন সময়ব্যাপী। খাদ্যকে উৎপাদনে পরিণত করার ক্ষমতা যেন বেশি থাকে। এদের শরীর সুস্থ ও নীরোগ হবে।
ভাল স্ত্রী ছাগলের বৈশিষ্ট্য
-
মাথা লম্বা এবং অপেক্ষাকৃত সরু, সজীবতা থাকবে।
-
গলা লম্বা ও সরু, আলগা চামড়া থাকবে। গলা ও কাঁধ একই সরলরেখায় থাকবে।
-
কাঁধ চওড়া, সোজা থাকবে এবং কাঁধের পেছনের দিকে পেশীবহুল মাংস থাকবে।
-
বুক গভীর, পাঁজর বোঝা যাবে, পাঁজরের শেষের হাড় পেছনের দিকে বেঁকে থাকবে।
-
গর্ত থাকবে, ঠিক হিপবোনের সম্মুখভাগে।
-
নিতম্ব লম্বা, খুব ঢাল থাকার জন্য রক্তনালীকে রক্ষা করে।
-
পালান পালান হবে বড় আকারের, তবে শরীরের সঙ্গে মানানসই বড় পালান অধিক দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে। পালানের লোবগুলি পশমের মত নরম হবে। ভরা পালান দুধ দেবার পর চুপসে যাবে।
-
হক সন্ধি শক্ত-পোক্ত হবে এই সন্ধি।
আরও পড়ুনঃ মাংস উৎপাদনের জন্য কৃষিজাগরন বেছে নিল সেরা তিনটি জাত, রইল বৈশিষ্ট্য
-
বাঁট হবে হাতের সাইজের। দুটি বাঁটের মধ্যে বেশ ফাঁক থাকবে মোটা সাইজের। দুটি বাঁট আলাদা হবে এবং দুটোতেই দুধ থাকবে। পালানের সঙ্গে মানানসই বাঁট থাকবে। পালানের পাশে দুধ শিরা বেশ স্পষ্ট থাকবে।
-
পেটের নীচে মিল্কভেন দেখা যাবে, যদি দেখা না যায়, সেক্ষেত্রে হাত দিয়ে অনুভব করতে হবে। নী সন্ধি: শক্ত, সামনের পা হবে সোজা।
-
চোয়াল লম্বা, শক্তিশালী, আহার বেশি হবে, নীচের চোয়ালে ৮টি দাঁত থাকবে।
-
দেহের আবরণ চামড়া হবে নরম ও আলগা, দেহের লোম হবে চকচকে ও উজ্জ্বল, কোনরূপ ক্ষমতা থাকবে না।
আরও পড়ুনঃ ছাগল পালনের আগে জানতে হবে ছাগলের খাদ্য, বাসস্থান ব্যবস্থাপনা, রইল বিস্তারিত
উৎপাদনে অক্ষম স্ত্রী ছাগলের বৈশিষ্ট্য
-
মাথা অপেক্ষাকৃত ছোট, উত্তল মুখ, কম বা বেশি বাঁকানো নাক।
-
গলা ছোট ও মোটা হবে ।
-
পেট ছোট।
-
নিতম্ব ছোট এবং অপেক্ষাকৃত কম ঢালু থাকবে।