শোল মাছ মিষ্টি জলের মাছ। এই মাছটি দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশ জুড়ে পাওয়া যায়। এদের পুকুর, খাল, বিল, জলাভূমি, ধান ক্ষেত এবং প্রায় সব ধরনের জলা জায়গাতে পাওয়া যায়। শোল মাছ খুব শক্তিশালী এবং বলিষ্ঠ।
শারীরিক বৈশিষ্ট্যাবলীঃ
- শোল মাছের শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিচে বর্ণনা করা হলঃ
- এদের শরীরের রঙ কালো বা বাদামী হয়।
- দেহ নলাকার এবং দীর্ঘ হয়।
- এই মাছের শরীরের মধ্যে অনেক আঁশ আছে।
- এদের মাথার সামনের দিকটা সাপের মতো।তাই এদেরকে সাপ মাথা মাছ বলা হয়।
- এই মাছের পুরো শরীরে কালো কালো ছোপ আছে।
- পিছনের পাখনা কাস্তের মত দেখায়।
- চোয়ালে দাঁত আছে।
- পেছন কালো রঙের এবং নিচের দিক বাদামী রঙের হয়।
- বুকের দিকের পাখনা লম্বা হয় এবং এতে কাঁটা আছে।
- পায়ুর দিকের পাখনা দীর্ঘ হয় এবং এতে কোনো কাঁটা থাকে না।
- পুচ্ছ অবিভক্ত হয়।
- পার্শ্বিক লাইন বাঁকা হয়।
- শোল মাছের একটি অতিরিক্ত ফুসফুস আছে।
খাদ্য - শোল মাছ প্রধানত আমিষাশী, কিন্তু সর্বভুক মাছ। বাচ্চা অবস্থায় এই মাছ জু-প্ল্যাংটন খায় কিন্তু যখন তারা বড় হয়ে যায় তখন তারা গেঁড়ি, কীটপতঙ্গ এবং ছোট আকারের মাছ খায়। এমনকি, তারা তাদের নিজস্ব প্রজাতি খায়। এগুলির পাশাপাশি তারা মাছের খাবার, চালের গুড়ো ইত্যাদি খাবারও খায়।
প্রজনন - শোল মাছের প্রজনন সময় হল বৃষ্টির সময়। কিন্তু তারা সারা বছর ধরে প্রজনন প্রক্রিয়া করতে পারে। তারা ধানের মাঠে বাসা তৈরি করে এবং বৃষ্টির সময় আগাছা দিয়ে জলাধার তৈরি করে। মহিলা মাছ সেখানে ডিম পাড়ে। শিশু মাছের জন্ম না হওয়া পর্যন্ত পুরুষ ও মহিলা মাছ দুজনেই ডিমের প্রতি নজর রাখে।
প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে প্রোটিন ১১.২গ্রাম, ফ্যাট ২.৩ গ্রাম, আয়রন ০.৫৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.১৪ গ্রাম , ফসফরাস ০.২ গ্রাম আছে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী