দেশে পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বেশিরভাগ খামারি খামারের পাশাপাশি মুরগি পালনকে পছন্দ করছেন। বাজারে মুরগির ডিম ও মুরগিরও ভালো চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও, গ্রামীণ অর্থনীতিতে হাঁস-মুরগি পালনকে বিশেষ বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি অনেক লোকের উপার্জনের প্রধান মাধ্যম। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি একটি গ্রামে থাকেন, তাহলে হাঁস-মুরগি পালন আপনার জন্য খুব ভালো ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এই ব্যবসায় কম খরচে ভালো লাভ করা যায়। মুরগি বিক্রির জন্য গ্রামেই বাজার রয়েছে, যেখানে মুরগির শৌখিন লোকেরা তাদের বাড়িতে এসে আপনার কাছ থেকে মুরগি কিনে নেবে।
ছোট কৃষকদের জন্য ভাল বিকল্প
মুরগি পালনের ব্যবসা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গ্রামাঞ্চলে অল্প জমির মালিক বা ছোট খামারী চাষীদের মধ্যে। এই ব্যবসা শুরু করতে মাত্র 40 থেকে 50 হাজার টাকা খরচ হয়। এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার শুধু একটি খালি ঘর প্রয়োজন। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলিও মুরগি পালনের জন্য কৃষকদের সময়ে সময়ে ভর্তুকি সুবিধা প্রদান করে। এছাড়া মুরগি পালনে খামারিদের প্রশিক্ষণের মতো সুবিধাও দেওয়া হয়।
পালনের জন্য মুরগির সেরা জাত
কখনও কখনও হাঁস-মুরগি পালন কিছু লোকের জন্য লোকসানের চুক্তিতে পরিণত হয়, কারণ তাদের কাছে তাদের ভাল জাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। ভালো জাতের মুরগি পালন করলে মুরগি ও ডিম বিক্রি করে ভালো আয় করা যায়। হাঁস-মুরগি পালনের জন্য, স্বরনাথ, কাদাকনাথ, কারি উজ্জ্বল, বনরাজা, গ্রামপ্রিয়া, কেরি শ্যামা, নির্ভীক, শ্রীনিধি এবং কড়ি জাত পালন আপনার জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ দ্রুত বাড়বে পশুর দুধ উৎপাদন, মাথায় রাখুন এই ৫টি জিনিস!
মুরগি পালনে আয় দ্বিগুণ হবে
আপনি যদি 10 থেকে 15টি মুরগি দিয়ে পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে এর জন্য আপনাকে প্রায় 50 হাজার টাকা খরচ করতে হবে। যখন তারা বড় হয়, আপনি তাদের বিক্রি করে দ্বিগুণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আমরা আপনাকে বলি, একটি স্থানীয় মুরগি বছরে প্রায় 160 থেকে 180টি ডিম দেয়, যা বিক্রি করে আপনি হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন। যত বেশি মুরগি আছে, আয় তত বেশি।