'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 12 April, 2019 10:34 AM IST

মাছ চাষে রোগ হল প্রধান একটি সমস্যা।  রোগ হল এমন একটি অবস্থা যখন মাছের দেহের বা কোন নির্দিষ্ট অঙ্গের সুরক্ষাব্যবস্থা, খাদ্যগ্রহণ ও প্রজনন বৈশিষ্ট্যের  ব্যবহারিক ও আকারগত পরিবর্তন  লক্ষ্য করা যায়। তবুও সাকগ্রিকভাবে যদি মাছ পুকুরের উপরিতলে ভেসে ওঠে বা কিনারায় এসে জমা হয়, তাহলে তা রোগের পূর্বাভাস হিসেবে ধরা যেতে পারে।

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচিত ও অনুচিত পদক্ষেপ:

উচিত:

  • রোগমুক্ত সুস্থ্য চারা ব্যবহার
  • নতুন চারা ছাড়ার সময় কিছুক্ষণের জন্য আলাদা রাখা
  • মাছকে সুষম খাবার দেওয়া
  • জলের গুণগত মান ও স্বাস্থ্য সপ্তাহে একবার পরীক্ষা
  • সমদৈর্ঘের মাছ আলাদা রাখা
  • খাদ্যের পরিমাণ ও রোগের লক্ষণ নথিভুক্ত করা
  • প্রয়োজনে মাছের চিকিৎসা
  • ঔষধ ব্যবহারের পরবর্তী সময় মাছের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা
  • মৃত মাছ তৎক্ষণাৎ সরিয়ে ফেলা
  • চাষের সরঞ্জাম পরিস্কার ও জীবানুমুক্ত রাখা

সম্বব হলে প্রতিষেধক ও অনাক্রম্যতা উদ্দীপকের ব্যবহা

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু অনুচিত পদক্ষেপ:

  • পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা
  • অতিরিক্ত কাছাকাছি মাছচাষের জলাশয় স্থাপন
  • অজানা উৎস থেকে মাছের চারা আনা
  • অতিরিক্ত মাছের ঘনত্ব
  • অবাঞ্ছিত মাছ রাখা
  • অত্যাধিক খাদ্য প্রয়োগ
  • সটিক রোগ নির্ণয় ব্যতীত ওষুধ প্রয়োগ
  • মৃত বা পচা মাছ যত্রতত্র ফেলা
  • যথাযথ পুকুরের সংস্কার না করা
  • অতিরিক্ত মাত্রায় মাছের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত রোগের প্রতি লক্ষ্য না দেওয়া

ভাইরাস ঘটিত রোগের বৃথা চিকিৎসার চেষ্টা

রোগের প্রতিরোধ, রোগের চিকিৎসার থেকে বেশী উপকারী:

  • মৌলিক চাষের সমস্যাগুলি সমাধান করুন।
  • বহু সংখ্যক মাছের মৃত্যুর জন্য কেবলমাত্র রোগকে দায়ী না করা।
  • যে কোন সমস্যার সমধানের জন্য রাসায়নিকের ব্যবহার কাম্য নয়।
  • মনে রাখা দরকার, রাসায়নিকের ব্যবহার পুকুরের তলদেশের মাটি ও জলের গুণাগুন নষ্ট করে, যা পরোক্ষভাবে মাছের স্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক জলজ কণাদের প্রভাবিত করে।

মাছ রোগগ্রস্থ হলে করণীয় পদক্ষেপ:

  • কোন্ পুকুরের মাছ রোগগ্রস্থ তা সঠিক ভাবে চিহ্নিত কুরুন।
  • প্রত্যেকটি রোগগ্রস্থ মাছকে আলাদা করে কোন জলাশয়ে রাখুন।
  • জলের গুণগত মানের কোন আকস্মিক বা অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটছে কিনা তা খেয়াল রাখুন ও নথিভুক্ত করুন।
  • জলের দ্রবীভূত, অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট ও জলের pH এর মাত্রা পরীক্ষা করুন।
  • মাছের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

মাছের সঠিক রোগ নির্ণয় ও সেই সংক্রান্ত উপদেশের জন্য প্রতিটি ব্লকের আতমা প্রকল্পের সাথে যুক্ত আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করুন।

তথ্য সহায়তা: ড: কিশোর ধাড়া, উপ মৎস অধিকর্তা, গৌড়বঙ্গ ও কেন্দ্রীয় অঞ্চল, মৎস দপ্তর; পশ্চিমবঙ্গ সরকার

রুনা নাথ(runa@krishijagran.com)

 

English Summary: solutions-of-different-aquaculture-problems
Published on: 12 April 2019, 10:25 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)