কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভারতে ৪ ধরনের মৌমাছির মধ্যে মোট উৎপাদিত মধুর প্রায় ৭০% পাওয়া যায় সুন্দরবনের বন্য মৌমাছি থেকে। একেকটি চাক থেকে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কেজি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু এদের পালন সম্ভব নয়। মধুর জন্য পালন করা হয় ভারতীয় মৌমাছি বা এপিস ইন্ডিকা। এই শ্রেণীর মৌমাছিদের মধু উৎপাদনের ক্ষমতা বেশী হওয়ায় মৌমাছি পালক ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেষ্টায় আটের দশক থেকে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এই জাতীয় মৌমাছি চাষ শুরু হয়। এ রাজ্যের মৌ পালকরা পাঞ্জাব থেকে এপিস মেলিফেরা নিয়ে আসেন।
মৌমাছির কয়েকটি উন্নত প্রজাতি
পাথুরে মৌমাছি বা দৈত্য মৌমাছি, এপিস দোরসাটা
-
সব মৌমাছির মধ্যে সব থেকে বড়
-
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ মিটার উচ্চতায় এদের বেশি দেখা যায়
-
এরা লম্বা গাছের উপর, বড় বাড়ির উপর, জলের টাওয়ারের উপর বাসা বাঁধতে পছন্দ করে
-
এরা গরমকালে পাহাড়ে এবং শীতকালে সমতলে পরিযান করে
-
প্রতি বছর প্রতি কলোনি থেকে ৩০-৫০ কেজি মধু উৎপন্ন হয়
-
বিভিন্ন গাছ, ফল, প্রাকৃতিক গাছের পরাগমিলন কারি হিসাবে কাজ করে
আরও পড়ুনঃ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মৌমাছি পালন
ভারতীয় মৌমাছি, এপিস ইনডিকা
-
এটি মাঝারি মাপের মৌমাছি
-
ভারতে দুটি প্রজাতি পাওয়া যায়- পার্বত্য প্রজাতি বা গান্ধিয়ানা ( কালো এবং বড় ) এবং সমতল প্রজাতি বা ইনডিকা ( ছোট এবং হলুদ)
-
পার্বত্য অঞ্চলে ৩.৬- ৪.৫ কেজি এবং সমতলে ১.৩- ২.২ কেজি মধু পাওয়া যায়।
ছোট মৌমাছি, এপিস ফ্লরিয়া
-
মৌমাছি প্রজাতির মধ্যে সব থেকে ছোট
-
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০০ মিটার উচ্চতায় এদের বেশি দেখা যায়
-
এরা ছোট গাছের ডালে ছোট বাসা বাঁধে
-
গড়ে প্রতি কলোনি থেকে ১ কেজি মধু উৎপন্ন হয়
আরও পড়ুনঃ Agri Business: একই জমিতে হাঁস-মুরগির সঙ্গে ফসল চাষ করতে পারবে কৃষকরা
ইউরোপিয়ান মৌমাছি ,এপিস মেলিফেরা
-
কেবলমাত্র এই মৌমাছিটি পৃথিবীর বেশিরভাগ যায়গায় ব্যবসায়িক কাজে পালন করা হয়
-
এটি ইতালি তে তৈরি হয়েছে এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে
-
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উচ্চতায় এদের বেশি দেখা যায়
-
এরা অনেকগুলি সমান্তরাল বাসা বাঁধে
-
একটি সুস্থ বসতিতে ৬০,০০০-৭০,০০০ মৌমাছি থাকে
-
প্রতি বছর প্রতি কলোনি থেকে ৩৫ কেজি মধু উৎপন্ন হয়
-
এরা একটি যাত্রায় মৌচাক থেকে ৫ কিমি যাত্রা করে নেকটার, পলেন, জল, প্রপলিস সংগ্রহ করে
-
এরা রোগ পোকার প্রতি সংবেদনশীল