পায়রা চাষ খুব আকর্ষণীয়, লাভজনক এবং পায়রা খুব জনপ্রিয় গার্হস্থ্য পাখি। পায়রা শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। যে সব মানুষের বাড়িতে সুবিধা আছে, তারা বাড়িতে কিছু পায়রা পুষতে ভালোবাসে।পায়রা চাষে কম শ্রম এবং কম বিনিয়োগ প্রয়োজন। এমনকি আপনি আপনার অবসর সময়েও এদের যত্ন নিতে পারেন। বাচ্চা পায়রা বা স্কোয়াবের মাংস খুব সুস্বাদু, এবং পুষ্টিকর। এদের বাজারে বিপুল চাহিদা ও দাম রয়েছে। অন্যদিকে পায়রার চাষ কিছু অতিরিক্ত আয় এবং বিনোদনের একটি মহান উৎস হতে পারে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পায়রা চাষ করলে তা ঐতিহ্যগতভাবের চেয়ে খুব লাভজনক। সুতরাং, পায়রা চাষের ব্যবসায়ে সফল হতে হলে, আধুনিক কৌশলগুলি ব্যবহার করুন এবং আপনার পাখির ভাল যত্ন নিন।
পায়রা চাষের উপকারিতা
- পায়রা গার্হস্থ্য পাখি এবং এদের সামলানো খুব সহজ।
- ছয় মাস বয়স থেকে তারা ডিম পাড়তে শুরু করে এবং প্রতি মাসে দুটো করে বাচ্চা হয়।
- পায়রার বাসা বাড়ির ছাদে সহজে উত্থাপিত করা যেতে পারে।
- তাদের ডিম পাড়তে প্রায় ১৮ দিন সময় লাগে।
- বাচ্চা পায়রা (স্কোয়াব) তাদের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের বয়সের মধ্যে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
- অল্প বিনিয়োগের সঙ্গে একটি ছোট জায়গায় একটি পায়রার ঘর নির্মাণ করতে পারেন।
- পায়রার খাওয়ার খরচ খুব কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের দ্বারা খাদ্য সংগ্রহ করে।
- পায়রার মাংস খুব সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং বাজারে এর চাহিদা আছে।
- পায়রা চাষ খুব আনন্দদায়ক এবং বিনোদনের। আপনি পায়রা চাষের মাধ্যমে কিছু ভাল সময় ব্যয় করতে পারেন।
- আপনি কম মূলধন এবং শ্রম বিনিয়োগ করে তাদের সর্বোচ্চ লাভ পেতে পারেন।
- পায়রার রোগ হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
- বিভিন্ন ধরনের খেলনা পায়রার পালক দ্বারা তৈরি করা যেতে পারে।
- পায়রা বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খাওয়ার মাধ্যমে পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে।
- রোগীর খাদ্য হিসাবে স্কোয়াবের বাজারে চাহিদা আছে।
- পায়রা তাদের ৫ থেকে ৬ মাস বয়সে ডিম স্থাপন করা শুরু করে।
- বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ইত্যাদির মানুষের জন্য পায়রা চাষ একটি বড় আয়ের উৎস হতে পারে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী