একটি সামুদ্রিক খাবার। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ খায়। এটি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই এশিয়ার দেশগুলোতে কাঁকড়া চাষের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় কাঁকড়া চাষের ব্যবসা শুরু করে চাষিরা ভালো লাভ করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেই এর ব্যবসা সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এখানে বলে রাখি যে এর চাষে খরচ কম লাগে এবং অনেক লাভও করা যায়। এমতাবস্থায় কাঁকড়া চাষের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কিভাবে কাঁকড়া চাষ করতে হয়। তাই আসুন আপনাদের বলি যে কাঁকড়া অনেক পদ্ধতিতে চাষ করা হয়। তো চলুন প্রথমে জেনে নিই কাঁকড়া চাষ সম্পর্কে-
কাঁকড়া চাষ
মিঠা পানিতে কাঁকড়া চাষকে কাঁকড়া চাষ বলা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় মাঠে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে তাতে কাঁকড়া ফেলে রাখা হয়, তবে তার আগে কাঁকড়ার বীজ ছোট পাত্রে বা খোলা জলে বাক্সে রাখা হয়। পরে এসব পুকুরে অবমুক্ত করা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে বড় কাঁকড়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ছোট কাঁকড়া পুকুরে, কৃত্রিম উপকরণ দিয়ে তৈরি বাক্সে পালন করা হয়। এর অধীনে, নরম খোলসযুক্ত কাঁকড়াগুলিকে কয়েক সপ্তাহের জন্য যত্ন নেওয়া হয় যতক্ষণ না তাদের উপর বাইরের খোসা অর্থাৎ তারা শক্ত হয়ে যায়। এতে 200 গ্রাম কাঁকড়ার ওজন এক মাসে 25 থেকে 50 গ্রাম বৃদ্ধি পায়, যা 9-10 মাস বাড়তে থাকে। এই "কঠিন" কাঁকড়াগুলি স্থানীয় লোকেদের মধ্যে "মাড" (মাংস) নামে পরিচিত এবং বাজারে নরম কাঁকড়ার চেয়ে 3 থেকে 4 গুণ বেশি দামী। এর অধীনে, 0.025-0.2 হেক্টর আয়তনের এবং 1 থেকে 1.5 মিটার গভীরতায় ছোট জোয়ারের পুকুরে কাঁকড়া পালন করা যেতে পারে।