পোলট্র্রি মালিকেরা বলছেন গত কয়েক বছর ধরে খামারিদের কাছে তা ক্রমে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কালো মুরগির মাথার ঝুঁটি থেকে পা, অর্থাৎ এর সব অঙ্গের রং কালো। পালক, চামড়া, ঠোঁট, নখ, ঝুঁটি, জিভ, মাংস এমনকি হাড় পর্যন্ত কালো রঙের। গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা এবং খামারিরা জানিয়েছেন, কালো মুরগি একটি বিরল প্রজাতির মুরগি। এ জাতের মুরগির মাংস সুস্বাদু এবং এর পুষ্টি ও ঔষধি গুণ রয়েছে।
এই মুরগি ডিম পাড়ার উপযোগী হতে ছয় মাসের মত সময় লাগে। একজোড়া কালো মুরগি ও মোরগের দাম চার হাজার টাকা। ২০১৬ সালে একজোড়া মুরগি ও মোরগের দাম ছিল দশ হাজার টাকা।
আরও পড়ুনঃ প্রচণ্ড গরমে দুগ্ধজাত পশুর যত্ন নেবেন কীভাবে?
দেশি মুরগির চেয়ে এই মুরগির মাংসের স্বাদ বেশি। কালো মুরগির মাংসে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন থাকে । এছাড়া সাধারণ মুরগির তুলনায় এই মুরগির মাংসে কোলেস্টরেলের মাত্রাও অনেক কম থাকে। এই মুরগি রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই মুরগির মাংসে ফ্যাটি অ্যাসিড উপাদান অনেক বেশি থাকে। কিন্তু প্রোটিনের মাত্রা অন্য সব মুরগির মাংস থেকে কয়েক গুণ বেশি।
তবে কাদাকনাথ মুরগির উৎপাদন ব্যয় কম এবং এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। যে কারণে খামারিরা এই মুরগির বাণিজ্যিক উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। এখন কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের গবেষণা করছেন, যাতে দেশি কোনো জাতের মুরগির সঙ্গে এর কৃত্রিম প্রজনন ঘটানো যায় কিনা, যাতে এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে।
আরও পড়ুনঃ বিপন্নপ্রায় বেঙ্গল গ্রে ক্যাটল,তাবে কি সংরক্ষনের প্রয়োজন ?