ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এই কৃষকদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণীর কৃষক। কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার থেকে বিভিন্ন রকমের পরামর্শও দেওয়া হয় যেমন- পশুপালন । পশুপালনের জন্য অনেক রাজ্য সরকার কৃষকদের আর্থিক সাহায্যও করে থাকে ।
যে কৃষকরা পশুপালন ( গরু-মহিষ) লালন-পালন করেন তাদের আর্থিকভাবে খুব একটা পিছিয়ে থাকতে হয় না । কারন এই ব্যবসায় বিস্তর লাভ আছে। দুধ থেকে অনেক ধরনের পণ্য তৈরি হয়। এছাড়াও দই, পনির, ঘি এর মতো পণ্য রয়েছে যা কৃষকরা বাড়িতে তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করতে পারে। এর ফলে তারা ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারে।
অনেক সময় কৃষকরা অভিযোগ করেন যে তাদের গরু বা মহিষ কম দুধ দিচ্ছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশুর খাদ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকায় তাদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে পারেন না খামারিরা। যার কারণে তাদের গাভী বা মহিষের দোহন ক্ষমতা কমে যায়।
আরও পড়ুনঃ আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভাসতে চলেছে দক্ষিনবঙ্গ
পশুদের এই জাতীয় খাবার দিন
দুধের পরিমাণ বাড়াতে হলে সঠিক সময়ে সুষম খাবার দেওয়া খুবই জরুরি। তুষ দিয়ে পশুদের খাবার দিন। এ ছাড়া পুষ্টি পূরণের জন্য খাদ্যশস্যের পরিমাণ যেমন ভুট্টা, যব, গম, বাজরা আগের তুলনায় বাড়াতে হবে। এছাড়াও কেকের মধ্যে সরিষার পিঠা, চীনাবাদাম পিঠা, তুলার পিঠা, তুলার পিঠা, তিসির পিঠার পরিমাণ বাড়াতে হবে । আপনার গাভিকে প্রচুর জল খাওয়ান । গমের আটার সাথে সরিষার তেল মিশিয়ে খাওয়ান। এ ছাড়া সময়ে সময়ে আপনার গাভির শারিরিক পরীক্ষা করান, যাতে কোনো রোগের আক্রমন হলে আপনি সহজে বুঝতে পারেন। এ ছাড়া নেপিয়ার ও কাউপিয়ার মতো ঘাস খাওয়ালে পশুদের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ সবাইকে চমকে আজ সন্ধ্যাতেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন শিন্ডে
কখনও এই কাজটি করবেন না
অনেক সময় দেখা যায় অনেক কৃষক বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে। এ জন্য তারা গরু বা মহিষের ওপর পাউডার বা ইনজেকশন প্রয়োগ করেন । এমনটা করলে পশুদের স্বাস্থ্যের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। এমতাবস্থায় কৃষকদের উচিত তাদের দুগ্ধজাত পশুদের এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকা।