গরমকালে প্রচণ্ড গরমে মুরগিরা অতিরিক্ত গরমের জন্য মারা যায়। তাপের কারণে তারা তাদের দেহ থেকে তাপ বের করতে পারে না এর ফলে এদের শ্বাসকষ্ট হয় এবং বেশি শ্বাসকষ্ট হলে পরে এরা মারা যায়। এর থেকে এদেরকে রক্ষা করতে হলে কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমন -
খাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে - এই সময় মুরগিদের খাওয়া কমে যায়। সেই কারণে দিনের উষ্ণতম সময়ে খাবার না দেওয়া ভালো শুধু জল দেওয়া যেতে পারে। ভোরের দিকে বা সন্ধ্যার সময় যখন তাপমাত্রা কম থাকে তখন খাবার দিলে ভালো হয়। খাবারে যেন পুষ্টির মান সঠিক ও বেশী থাকে। অ্যামাইনো অ্যাসিড মিথুনিন ও লাইসিনের ঘাটতি আছে কিনা দেখতে হবে, যদি ঘাটতি থাকে তাহলে সেই ঘাটতি পুরণ করতে হবে। প্রতি লিটার জলে ১ থেকে ২ মিলিমিটার মেশাতে হবে।
গরমে অতিরিক্ত যত্ন - গরমে পোল্ট্রির যথাযথ দেখাশুনো না করলে মুরগিরা মারা যাবে। অধিক তাপের জন্য মুরগির দৈহিক ওজন কমে যায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ডিম উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। পোলট্রিতে এক দিনের বাচ্চা আসার আগে ঠাণ্ডা জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জলের সাথে ভিটামিন- সি ও আখের গুড় মেশানো যেতে পারে। খামারে যাতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। খামারে সিলিং ফ্যানের সাথে এগজস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। মুরগি যেন আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বড় মুরগিদের ১ বর্গফুট জায়গা দিতে হবে যাতে তারা আরামে থাকতে পারে। খামারের চাল অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে জল দেবার ব্যবস্থা করতে হবে। খামারের চারপাশে চুন ছিটিয়ে দিলে ভালো হয়। খাবার ও জলের জায়গা বেশী করে রাখতে হবে। খাবারে ভিটামিন- সি ও ভিটামিন- ই ব্যবহার করুন।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী