'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 15 November, 2022 4:42 PM IST
গরুর খামার

মাত্র ৮০ টি গরু দিয়ে নিজের খামার বানিয়েছিলেন আইনজীবী শিহাবএরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকেএখন প্রতিবছর ২০০ গরু বিক্রি করেন তিনিতার সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন গ্রামের নতুন খামারিরা 

শিহাব উদ্দিন পুরো খামারটিতে রেখেছেন আধুনিকতার ছোঁয়াশেডের ভেতরে প্রতিটি গরুর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা চৌবাচ্চারয়েছে গরুর গোসল, চিকিৎসাপ্রজননের জন্য আলাদা ব্যবস্থা 

দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই গরুর খামার এটিভেতরে নজর কাড়ার মতো সাজানো গোছানোসারিবদ্ধ গাভীষাঁড় খাবার খাচ্ছেতিনটি শেডে এবছর গরু রয়েছে দুই শতাধিকএসব গরুর লালন পালন এবং যত্নে কাজ করছে সাত জন শ্রমিকখামারে ঢুকেই প্রথম শেডে রয়েছে গাভীদ্বিতীয়তৃতীয় শেডে রয়েছে মোটাতাজা করণ গরু 

কর্মরত শ্রমিক বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমরা সাতজন কর্মচারী গরুগুলোর যত্ন নেই। সপ্তাহে দুই দিন ব্লিসিং পাউডার ও চুন দিয়ে খামার পরিষ্কার করে রাখি। শুধু গরু কেনার জন্য নয়, অনেকেই শখ করে খামার দেখতে আসেন। মশা-মাছি কোনো রকমের দুর্গন্ধ নেই খামারে। সুন্দর পরিবেশ আর আধুনিক উপায়ে গরু পালন করি আমরা। 

আরও পড়ুনঃ সৌদির খেজুর চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন বাংলাদেশের হানিফা

শাহিনের খামারে প্রতিদিন একবার বা দুবার গরুগুলোকে স্নান করানো হয়। দুর্গন্ধমুক্ত রাখা হয়। এখানে ঘাসের চাষ করেছেন তিনি, যা দিয়ে গরুগুলোর ঘাসের চাহিদা পূরণ হয়। পাশাপাশি খড়, ভুসি, পোলট্রি ফিড ব্যবহার করা হয়। 

বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন , আমি ৮০টা গরু দিয়ে শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে ১২টি দুধের গরু ছিল। বর্তমানে ২৫০টি গরু রয়েছে। আমার বাবার জমি হওয়ায় কোনো ভাড়া দিতে হয় না। শেড নির্মাণসহ তখন প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দামের পর্যন্ত গরু রয়েছে। বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের সামগ্রিক খরচ বেড়ে গেছে। 

সরকার খামারিদের উদ্বুদ্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর প্রতিবেশী দেশ থেকে গরু আনা হয় না। এতে আমাদের খামারিরা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এটা সরকারের অসাধারণ সিদ্ধান্ত। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে আমার স্বয়ংসম্পূর্ণ হব। এতে নতুন খামারি বাড়ছে। সরকার প্রণোদনা দিলে আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে গরু রপ্তানি করতে পারব। 

প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লার তিন জেলার মধ্যে শাহিনের খামারটি সবচেয়ে বড়। তার খামারে সারা বছর গরু বেচাকেনা হয়ে থাকে। তিনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গরুর ছবি ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে মানুষ আশ্বস্ত হয় গরু কিনতে। 

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌতম চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই আমি এই আধুনিক গরুর খামারের নানা দিক নিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছি। গরুর খাদ্য, স্বাস্থ্যচিকিৎসা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে খামারির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। গরুর খুরারোগের ভ্যাকসিনসহ সব ভ্যাকসিন যথাসময়ে দেওয়া হচ্ছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে জানান , নোয়াখালীতে কোরবানির জন্য এ বছর ১ লাখ গবাদিপশু লালনপালন করা হচ্ছে, যা আমাদের চাহিদার থেকে ১০ হাজার বেশি। যা আমরা অন্য জেলায় পাঠাতে পারব। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতা যেন অবাধে তাদের পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে, সে জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে প্রবল বন্যায় আউশ ধানের ব্য়পক ক্ষয়ক্ষতি

রাস্তাঘাট ও পশুরহাট গুলোতে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। প্রতি হাটে একজন করে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ, তাই ক্রেতা-বিক্রেতার জন্য অনলাইনে একাধিক প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকেও তারা উপকার পাবেন বলেও আশা করেন এ কর্মকর্তা। 

English Summary: The farm has a touch of modernity, the lawyer sells 200 cows a year
Published on: 24 June 2022, 04:53 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)