অনেক মানুষ খরগোশকে (Rabbit Farming) খুব পছন্দ করে। আপনিও যদি প্রাণীপালন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকেন বা হতে চান, তবে খরগোশের চাষ থেকে আপনি বার্ষিক লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এটি এমন একটি ব্যবসা যা খুব অল্প পরিমাণে শুরু করা যেতে পারে। আপনি কীভাবে খরগোশ পালন ব্যবসা শুরু করতে পারেন তা সম্পর্কে আজ আপনাকে তথ্য প্রদান করব।
খরগোশ প্রজাতি
আমাদের দেশ বিভিন্ন প্রজাতির যে খরগোশ দেখা যায়, তারমধ্যে সাদা, কালো, ডোরা এবং খয়েরি রঙের খরগোশ বেশি। পশ্চিমবঙ্গে প্রাপ্ত জাতসমূহের মধ্যে ডার্ক গ্রে (নেটিভ), ফক্স, ডাচ, নিউজিল্যান্ড লাল, নিউজিল্যান্ড সাদা, নিউজিল্যান্ড কালো, বিলজিয়াম সাদা এবং ছিনছিলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কিছু দানাদার খাবার এবং বাড়ীর আশেপাশের ঘাস, লতা-পাতা এবং রান্না ঘরের উচ্ছিষ্টাংশ প্রদান করে পারিবারিকভিত্তিতে ২০টি খরগোশ প্রতিপালন করা যায় । এক কাঠা জায়গায় কমপক্ষে ১৩০টি খরগোশ পালন সম্ভব। সবুজ ঘাস, লতাপাতা, শাক-সবজি, ভাত খেতে এরা খুব পছন্দ করে। খুব সহজেই যে কেউ খরগোশ পালনকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। ছয় মাস বয়সী ১০০টি স্ত্রী খরগোশের সঙ্গে ছয় মাস বয়সী ২৫-৩০টি পুরুষ খরগোশের মিলনের ফলে আড়াই কি তিন মাসে ৫০০-৬০০টি বাচ্চা পাওয়া সম্ভব। একটি খরগোশ বছরে ৫ থেকে ৬টি বাচ্চা দেয়। ছয় মাস বয়সী প্রতিটি খরগোশের মূল্য ২০০-৪০০ টাকা।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে খাদ্য প্রয়োগ করলে মাছের বৃদ্ধি বাড়বে, জেনে নিন কম খরচে মাছ পালনের পদ্ধতি
খরগোশ বাচ্চা প্রদানের পর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই প্রসবকৃত বাচ্চাগুলো চলাফেরা করতে পারে। বাচ্চা প্রসবের সময় এরা অবশ্য নিরাপদ আশয় খোঁজে। কারণ বেজি, নেড়ি কুকুড়, বিড়াল, সাপ এদের জাতশত্রু। এসব প্রাণী যাতে এদের ক্ষতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি বাচ্চা এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। তখন এদের প্রতিটির মূল্য দাঁড়ায় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।
আরও পড়ুনঃ
পালন পদ্ধতি
বাড়ীর ছাদে বা বাড়ীর আঙ্গিনা অথবা বারান্দায় অল্প জায়গায় বিনিয়োগ করে ছোট আকারের শেড তৈরি করে খরগোশ প্রতিপালন করা যায়। দুই পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করা যায় হয়ে থাকে।
খরগোশ পালনে ঝুঁকিপূর্ণ দিকসমূহ
উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারজাতকরণে সমস্যা।
খরগোশের মাংস সবাই খেতে চায় না।
খরগোশ অসুস্থ হলে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
খরগোশের ইউরিনে ভীষণ গন্ধ থাকে।