কৃষিজাগরন ডেস্কঃ মাছ চাষ ভারতের গ্রামীণ এলাকায় আয়ের সেরা উৎস। গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ মাছ চাষ করে ভালো মুনাফা অর্জন করছে। তবে তথ্যের অভাবে অনেক মাছ চাষি লোকসানের মুখে পড়েন। আজকে আমরা আপনাকে এমন কিছু প্রজাতির মাছ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যেগুলির বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এগুলি অনুসরণ করে কৃষকরা প্রতিদিন প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে।
কডফিশ মাছ চাষ
এটি বিশ্বের সবচেয়ে বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি। এর ওজন ২ থেকে ৪ কেজি।কডফিশ প্রোটিন এবং চর্বির একটি প্রধান উৎস এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। চিকিৎসকরাও অনেক রোগে এই মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃ পুকুর পাড়েই তৈরী করা যেতে পারে মাছের বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার
শোভাময় মাছ চাষ
এই মাছগুলিকে ঠাণ্ডা জলে পালন করা যায় এবং ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যায়। এই মাছগুলি সোনালি এবং রূপালী-সাদা মত ধাতব রঙে পাওয়া যায়। শহুরে এলাকায় শখের বশে এসব মাছ বেশি করে লালন-পালন করা হয়। এমতাবস্থায় চাষীরা শোভাময় মাছ চাষ করে ভালো লাভ করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেই রাজ্যের সিংহভাগ মাছের খাবার আসে, তাই খাদ্য উৎপাদন বিকল্প আয়ের পথ হতে পারে
তিলাপিয়া মাছ চাষ
তেলাপিয়া মাছ ভোগের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মাছ। লোকেরা এটি অনুসরণ করতে পছন্দ করে কারণ এটি প্রোটিনের একটি ভাল উত্স। এই মাছের জন্য শস্য-ভিত্তিক খাদ্য প্রয়োজন।
কাতলা মাছ চাষ
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে কাতলা মাছ বিশেষভাবে বিখ্যাত। এটি খাদ্য হিসাবে অত্যন্ত তৃপ্তির সাথে খাওয়া হয়। এটি খাবারের জন্য পানির উপরিভাগ ব্যবহার করে। জলের ধারের কাছে পৃষ্ঠে পাওয়া গাছপালা তার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বাঁচতে এবং বেড়ে ওঠার জন্য ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তাপমাত্রা প্রয়োজন।
রুই মাছ চাষ
অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম রাজ্যে এই জাতের রোহু চাষ করা হয়। একই সময়ে, অন্যান্য রাজ্যেও এর পালন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাতটি ছোট-বড় জলাশয়ে পালন করা যায়। সারাদেশে জয়ন্তী মাছের বীজের চাহিদা রয়েছে। এটি অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর। একই সঙ্গে জেলেরা কম সময়ে বেশি লাভ পান। এই মাছ ৯ থেকে ১২ মাসে আড়াই কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।