ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার তারতম্য ঘটে, আর তার জেরে আশেপাশের গাছ-গাছালি ও ফুলে বৈচিত্র্য দেখা যায়। তাই সুষ্ঠুভাবে মৌমাছি পালনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পরিচর্যার প্রযোজন হয়।
বসন্তকালে মৌমাছির পরিচর্যা
বসন্তকাল আমাদের দেশে সবচেয়ে মনোরম ঋতু। এই সময় প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল, যেম্ সর্ষে, তিল, ধনে, কালো জিরে, সূর্যমুখী, খেসারী, লিচু, সজনে, খলসি (ম্যানগ্রোভ), ইত্যাদি দেখা যায়। তাই এই সময়কে "মধু প্রবাহ ঋতু" বলা হয়। এই সময় কর্মী মৌমাছিরা মকরন্দ ও পরাগরেণু সংগ্রহে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে। এই ঋতুতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণে মধু উৎপাদিত হয়। আবার এই ঋতু মৌমাছিদের প্রজননের জন্যও সবচেয়ে আদর্শ। তাই এই সময় নিম্নলিখিত পরিচর্যা ও সতর্কভা গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ মৌমাছি পালন লাভজনক হবে,জানতে হবে ঋতুভিত্তিক পরিচর্যার কিছু উপায়
-
বাক্সের মেঝেতে পড়ে থাকা মৃত মৌমাছি, শুকনো পরাগ এবং সঞ্চয় কুঠুরির ঢাকনা ইত্যাদি সময় মতো পরিস্কার করা উচিত।
-
বাক্সে যাতে সঠিক ভাবে বায়ু চলাচল করে তা লক্ষ রাখা উচিত
-
অধিক মধু সঙ্গমের জন্য প্রজনন কক্ষের উপর প্রয়োজন অনুসারে এক বা একাধিক সুপার চেম্বার সংযোজন করা দরকার
-
সুপার চেম্বারের ফ্রেমগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সময়মতো মধুপূর্ণ ফ্রেমগুলি খুলে মধু নিষ্কাশন করতে হবে
আরও পড়ুনঃ এই তিনটি রোগ মহিষের জন্য মারাত্মক,এর প্রতিকার না জানলে মারা যেতে পারে
-
মৌচাকে মৌমাছির সংখ্যা নির্দিষ্টর চেয়ে বেশি হয়ে গেলে কলোনি বিভাজনের মাধ্যমে নতুন চাক গড়ে তুলতে হবে। নাহলে, মৌমাছিদের ঝাঁক ছাড়া প্রতিরোধে, মৌচাকে তৈরি হওয়া অতিরিক্ত রানী কুঠুরী নষ্ট করে দিতেহবে।
-
রানী মৌমাছির ডিম পাড়ার ক্ষমতা হ্রাস পেলে অথবা ডিম পাড়া বন্ধ করে দিলে, সেক্ষেত্রে রানী পরিবর্তন করে নতুন, অল্পবয়সী রানী মৌমাছি পুনঃস্বাপিত করতে হবে।