বর্তমান যুগে, বেশিরভাগ যুবক পশুপালন এবং কৃষি খাতের দিকে তাদের ঝোঁক বাড়াচ্ছে, কারণ চাকরির চেয়ে এই কাজে উপার্জনের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে হচ্ছে। বর্তমানে পশুপালন ব্যবসার জন্য সেরা বিকল্প হয়ে উঠেছে। বেশিরভাগ যুবক এই ব্যবসাকে অবলম্বন করে প্রতি মাসে মোটা টাকা আয় করছেন। এই কারণে, বিজ্ঞানীরা সময়ে সময়ে প্রাণীদের জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছেন। তাই এমন একটি প্রযুক্তি হল প্রাণীদের কৃত্রিম গর্ভধারণ (AI)। এটি এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে গবাদি পশু খামারিরা তাদের গরু ও মহিষের বৃদ্ধির হার, স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে তাদের আয় বাড়াতে পারে।
কৃত্রিম প্রজনন (AI) কি ?
কৃত্রিম গর্ভধারণ (AI) প্রযুক্তি হল একটি সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (ART), যা সঞ্চিত বীর্য সরাসরি প্রাণীদের জরায়ুতে জমা করতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রজনন পদ্ধতি গবাদি পশুর কর্মক্ষমতা এবং জেনেটিক গুণমান উন্নত করার জন্য একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার। এতে অনেকাংশে উপকৃত হবেন পশু খামারিরা। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, মথুরা-ভিত্তিক পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় কনসেপশন ভেটেরিনারি সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটিতে (ডুভাসু) গত কয়েক বছর ধরে কৃত্রিম প্রজনন (AI) নিয়ে গবেষণা চলছে, যার মাধ্যমে ছাগলের একটি পালকে গর্ভধারণের মাধ্যমে বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে। একই সময়ে এমতাবস্থায় সবাই মিলে গর্ভধারণ করলে তাদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হবে। ছাগলের শিশুমৃত্যুর হারও কমবে। যা ছাগল পালনের জন্য খুবই সহায়ক ।
আরও পড়ুনঃ এই ৫টি জাতের মহিষ দিয়ে শুরু করুন দুগ্ধ খামার, আপনার আয় হবে দ্বিগুণ!
ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন করে কি লাভ হবে?
আপনি জানেন যে একটি ছাগল প্রায় 14 মাসে 35 থেকে 40 কেজি হয়, পরিবেশ এবং সঠিক খাদ্যের অভাবে তাদের বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। যার কারণে এখন 16 মাস লেগে যায়, যার কারণে গরু খামারিদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এমতাবস্থায় পশু খামারিরা বিজ্ঞানীদের এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করলে ছাগলের বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশ বাড়বে এবং উৎপাদনও ভালো হবে।