দাহের কাজে ব্যবহৃত হবে গোবরের ঘুটে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন এবার থেকে শ্মশানে ব্যবহৃত জ্বালানিতে ৫০ শতাংশ গোবরের ঘুটে ব্যবহার করা হবে। গবাদি পশু এবং দুধ সংগ্রহের জন্য ডাকা বৈঠকে এই নির্দেশ জারি করেছে যোগী সরকার।
রাজ্যের সমস্ত জেলায় শ্মশানে দাহের কাজে কাঠ ব্যবহার করা হয়। এই কাঠের দাম যেমন ব্যয়বহুল তেমনই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। এদিকে গোবরের ঘুটের ব্যবহার করে বাড়বে আয় অপরদিকে মধ্যবিত্ত মানুষের বাঁচবে টাকাও। সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ জারি করে যোগী জানিয়েছেন শ্মশানে ব্যবহৃত গোবরের ঘুটে থেকে আয় দিয়ে গো-রক্ষা কেন্দ্রগুলির উন্নতির কাজ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ গাঁজা চাষে বৈধতা? বিধায়কদের নিয়ে বসল বিশেষ কমিটি
আদেশ জারি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই সমস্ত গো-রক্ষা কেন্দ্রে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করা হবে। যার দায়িত্বে থাকবে গবাদি পশুর দেখবাল। আদেশে বলা হয়েছে, ১৭টি পৌরসভার সব জেলায় পশু ধরার যানবাহনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে । যাতে প্রাণীগুলিকে সহজেই তাদের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে চাহিদা! এই জেলায় লক্ষ্মীলাভ করাচ্ছে আকন্দ চাষ
বর্তমানে, রাজ্যে 6719টি নিঃস্ব পশু সুরক্ষা কেন্দ্রে 11.33 লক্ষেরও বেশি প্রাণীকে সুরক্ষিত করা হয়েছে । এছাড়াও, 20 জানুয়ারি থেকে 31 মার্চ পর্যন্ত, উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ প্রচার চালাচ্ছিল। যার আওতায় মোট 1.20 লাখ পশু রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ টাকা উপার্জন! ময়নাগুড়ির ড্রাগন চাষী অজিত সরকার
প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য যে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে তা সম্বল , মথুরা , মির্জাপুর , শাহজাহানপুর , সান্তকবীর নগর , আমরোহা , গৌতম বুধ নগর , গাজিয়াবাদ এবং ফারুখাবাদ জেলায় উল্লেখযোগ্যভাবে পরিচালিত হয়েছে । যোগী আদিত্যনাথ একটি আদেশ জারি করেছেন যে নিঃস্ব পশুদের জন্য খাদ্য/খড়ের জন্য সরাসরি ডিবিটি-এর মাধ্যমে তহবিল প্রকাশ করা হবে।