আমাদের দেশী জাতের ভেড়া আকারে ছোট, তবে এদের রোগবালাই কম হয়। অন্যদিকে সংকর জাতের ভেড়া আকারে বড় হয়, তবে এদের রোগ বেশী হয়। সাধারণত ভেড়ায় পিপিআর রোগ কম হয়। এরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কৃমি, শর্দি-কাঁশি, নিউমিনিয়ায় বেশী ভোগে। বর্ষাকালে এদের বাচ্চার মৃত্যুর হার বেশী এবং শুভ মৈাসুমে বাচ্চার মৃত্যুর হার কম হয়ে থাকে। বয়স্ক ভেড়া অত্যান্ত কষ্টসহিষ্ণু এবং মৃত্যুর হার অনেক কম হয়।
পিপিআর রোগের উৎস
অসুস্থ পশুর সংস্পর্শে পিপিআর হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
-
পিপিআর রোগ হলে ভেড়া পিঠ বাঁকা করে দাঁড়িয়ে থাকে।
-
নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে।
-
শরীরের তাপ বেড়ে যায় এবং পাতলা পায়খানা হয়
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে কোয়েলের চাহিদা, শিখে নিন এই তিন বিশেষ পদ্ধতি, লাভ হবে দ্বিগুন
চিকিৎসা
-
এ রোগের চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায় না।
-
তবে জল স্বল্পতা পূরণের জন্য স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
-
ভেড়াকে পাঁচ মাস বয়সে পিপিআর টীকা দিতে হবে।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তিন বৎসর পর্যন্ত কার্যকর থাকে।
ভেড়ার নিউমোনিয়া
রোগের উৎস
সাধারণত বর্ষাকাল ও স্যাঁত স্যাঁতে আবহওয়ায় এ রোগ হতে দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ
-
ভেড়ার এ রোগ হলে প্রথমে ঠান্ডা ও পরে জ্বর হবে।
-
নাক দিয়ে শ্লেষ্মা বের হতে থাকে।
-
শরীরের তাপ বেড়ে যাবে এবং ঘন শ্লেষ্মা হওয়ায় শ্বাস ফেলতে কষ্ট হবে।
চিকিৎসা
-
এ রোগ চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়।
-
পরিষ্কার, শুষ্ক, মুক্ত বায়ু চলাচল উপযোগি বাসস্থান হতে হবে।
-
ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ রাজহাঁস পালনে বাড়বে আয়, ফলো করুন এই পদ্ধতি
ভেড়ার কৃমি রোগ
রোগের উৎস
চারণ ভূমি, খাদ্য এবং পানির মাধ্যমে কৃমি রোগ বিস্তার লাভ করে।
রোগের লক্ষণ
-
ভেড়ার এ রোগ হলে স্বাস্থ্যহানি হয়।
-
শরির দূর্বল ও রক্ত স্বল্পতা দেখা দেবে।
-
প্রজনন কম বা বিলম্ব হবে।
-
ভেড়ার ডায়রিয়া হতে পারে।
চিকিৎসা
-
এ রোগ চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায়।
-
পরিষ্কার, শুষ্ক, মুক্ত বায়ু চলাচল উপযোগি বাসস্থান হতে হবে।
-
ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমিনাশক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
-
ভেড়ার রোগ প্রতিকারে নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।