সুন্দরবনে অবস্থিত বিপুল সংখ্যক সুন্দরী গাছের নামানুসারে এই নামকরণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের মূল আবাস্থল। এর পাশে – ৪২৬২ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সুবিশাল অরণ্য ও জলাভূমি এলাকা, উদ্ভিদকুল ও প্রাণীকুলের সমৃদ্ধ নিদর্শন। ঘন বন, নদীগর্ভ, জলা দ্বীপ ও বিপুল জলাভূমি সুন্দরবনকে রহস্যময় ও আকর্ষনীয় করে তুলেছে। অরণ্য দেখার শ্রেষ্ঠ সময় হল সেপ্টেম্বর এবং মার্চ এর মধ্যে।
সুন্দরবনের দর্শনীয় স্থান (Place to visit)–
হরিণ, গণ্ডার, মহিষ, কুমীর, কচ্ছপ, গোসাপ, অজগর ও নাম না জানা নানান প্রজাতির পাখি (সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে প্রাপ্ত তথ্য, ১২০ টি প্রজাতির মাছ, ২৭০ টি প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৮ টি উভচর প্রজাতির প্রাণীর বাস) এবং দক্ষিণরায়-এর বাস সুন্দরবনকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের ভগবতপুর, লোথিয়ান দ্বীপ, বনি ক্যাম্প, কলস ক্যাম্প। অপর দিকে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের সজনেখালি, সুধন্যখালি, দোবাঁকি থেকে একেবারে বুড়ির ডাবরি পর্যন্ত ঘোরার জন্য আদর্শ।
কীভাবে যাবেন (How to go) –
সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হল ক্যানিং, যার দূরত্ব কলকাতা থেকে মাত্র ৪০ কিমি। সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের দিকে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং পৌঁছে বা কলকাতার বাবুঘাট থেকে বাসে বাসন্তী-সোনাখালি পৌঁছে, সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরী অরণ্যের ভিড়ে সুন্দরবনে পৌঁছতে পারবেন। এছাড়া শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেনে ক্যানিং-এ নেমে, সেখান থেকে প্রাইভেট গাড়ি, ট্যাক্সি কিংবা বাসে করে পৌঁছে যাওয়া গদখালি, এটি সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার। সড়ক পথেও কলকাতা থেকে সরাসরি গদখালি ও ক্যানিং যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ বেড়ানোর সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লঞ্চে রাত্রিবাস। সজনেখালিতে থাকার নানান ব্যবস্থাও আছে, চাইলে সেখানেও রাত্রিযাপন করতে পারেন। জেটি ঘাটের কাছেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজও রয়েছে।
Image source - Google
Related link - (Khirai -Valley of Flowers) এই শীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন ক্ষীরাই – ফুলের উপত্যকা