এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 May, 2021 7:48 PM IST
Paddy field (Image Credit - Google)

ধান চাষে জলের অপচয় একটা প্রধান কারণ | ধান চাষে জলের অপচয় রোধ করতে প্রয়োজন কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন | কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রী পদ্ধতির সাহায্যে কম জলে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন সম্ভব | এই আধুনিক পদ্ধতির সাহায্যে জলের ব্যবহার অর্ধেক করা যেতে পারে | এই পদ্ধতিতে প্রতি একরে যেমন বীজ কম লাগবে, তেমনি কম ব্যবহার করতে হবে রাসায়নিক |

বেশিরভাগ কৃষক ধান হিসাবে মূলত আমনকেই বোঝেন। এই আমন ধানের চাষ (Paddy Cultivation) বর্ষা নির্ভর | বোরো চাষের মতো আমন চাষও সেচ নির্ভর হয়ে অনেক সময় মাটির নিচে জল ভাণ্ডারে টান পড়ে | অনেক সময়, কৃষকরা বীজতলা তৈরী করতে পারেননা | এক কেজি ধান উৎপাদন করতে প্রয়োজন হয় ১৪০০-১৮০০ লিটার জলের। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষিকাজে জলের অপচয় কমিয়ে ফেলা সম্ভব জলসেচের সামান্য পরিবর্তন ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে।

সাধারণত এ রাজ্যে চাষীরা জমি কাদা করে ধান ছাড়া রোপণ করে থাকেন | বীজতলা তৈরি, জমি কাদা করে চারা রোপণ ও চাষের জন্য প্রচুর জলের প্রয়োজন হয় | ধানের ছাড়া রোপণ থেকে ধান কাটার আগে পর্যন্ত এক থেকে দুই ইঞ্চি জল ধরে রাখা হয় জমিতে | কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের মতে জল ধরে রাখার প্রয়োজন নেই | প্রয়োজন শুধু আধুনিক ও পদ্ধতিগত পরিবর্তন | এতে শুধু চাষের খরচ কমবেনা, পাশাপাশি জলের সাশ্রয়ের সাথে ফলনও বেশি হবে |

সাশ্রয়কারী শ্রী পদ্ধতি (Sri Method):

সবথেকে জল সাশ্রয়কারী প্রযুক্তি হলো শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ | এই পদ্ধতির সাহায্যে উঁচু বা মাঝারি উচ্চতার জমি, যেখানে জল নিকাশি ব্যবস্থা আছে, সেখানে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ সম্ভব। কিন্তু, শ্রী পদ্ধতিতে প্রায় ৫০ শতাংশ কম জল লাগে | এই পদ্ধতি অবলম্বনে ফলন যেমন বেশি হয়, তেমনি রোগ পোকার আক্রমণও কম হয় | যেখানে সাধারণ পদ্ধতিতে একর প্রতি ২০ কেজি ধানের বীজ লাগে সেখানে এই পদ্ধতিতে মাত্র ২ কেজি বীজ লাগে |

প্রধানত, শ্রী পদ্ধতিতে ১০-১২ দিন বয়সের একটি করে চারা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে জমিতে রোপণ করা হয় | যেহেতু শিকড় মাটির অনেক গভীরে থাকে তাই নিচের থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে | ফলত, ২০-২৫ শতাংশ রাসায়নিকও কম লাগে | সর্বোপরি, দানা পুষ্ট হওয়ায় ফলনও হয় বেশি। অপরদিকে,

ড্রাম-সিডার পদ্ধতি (Drum-Sider Method):

এছাড়াও রয়েছে, ড্রাম সিডারের সাহায্যে ধান চাষের প্রযুক্তি। ড্রাম সিডার কৃষি যন্ত্রের  (Farm mechanization) সাহায্যে সরাসরি অঙ্কুরিত ধানের বীজ মূল জমিতে রোপণ করা হয়। এক্ষেত্রে, বীজতলার প্রয়োজন না হওয়ায় কৃষি উৎপাদনে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা | প্রথাগত পদ্ধতির চেয়ে ১০-১২ দিন আগে ধান পেকে যায় |

আরও পড়ুন - উন্নত বৈশিষ্ট্য সহ প্রচলন করা হল ভারতের প্রথম স্বয়ংক্রিয় হাইব্রিড ট্র্যাক্টর, যা ৫০% পর্যন্ত জ্বালানী সাশ্রয় করবে

শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষ কৃষকদের বিশেষ সুবিধাদায়ক | আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যাবহারে যেমন জলের ব্যবহার ৪-৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব, তেমনি জলসেচের সামান্য পরিবর্তন করে জলের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব | এই আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধান চাষ কৃষকদের খুবই সাশ্রয়পূর্ণ হয়ে উঠবে |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - ICAR কৃষকদের জন্য প্রচলন করল প্রোডাকশন টেকনোলোজি মোবাইল অ্যাপ

English Summary: Paddy cultivation in Sri method, will prevent wastage of water
Published on: 13 May 2021, 07:48 IST