বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই খোলা মাঠে সবজী চাষ হলেও তাতে অসুবিধা অনেক। তবে বর্তমানের নানা উন্নত জাত ও হাইব্রিডে সকল ঋতুতে চাষ সম্ভব হলেও গুনমানকে ধরে রাখতে ও রোগপোকা ঠেকাতে স্প্রে করতে হয় বেশী। তার বদলে বর্তমানে উপলব্ধ ৫০% সবুজ শেডনেটের আচ্ছাদন উপরে ফুট আটেকে বাঁশ দিয়ে ঢাকার ব্যবস্থা করে এই সব সবজি চাষ খুব ভালো ভাবে করা সম্ভব। সরকারী অনুদান ব্যবস্থাও এতে চালু আছে ফলে জি. আই. পাইপ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী শেড-নেট হাউসে সবজি চাষ এখন চাষিদের কাছে এক ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে।
একই কথা খাটে পলিগ্রীন হাউসের ক্ষেত্রে। এতে পুঁজি ও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকলে পুরো হাইটেক বা কম খরচে পাশে খোলা ‘ওপেন ভেন্টিলেটেড’ পরিকাঠামোতে অসময়ের প্রায় সবরকম সবজি চাষ আর উচ্চ আয়ের সবজি যেমন ক্যাপসিকাম করা সম্ভব। আর এতে ড্রিপ ব্যবস্থায় জলসেচ থাকলে রাসায়নিক সারের অপব্যবহার ও অপচয় অনেকটা কমাবার সঙ্গে কীট / রোগনাশক স্প্রেও যথাযথ দেওয়া সম্ভব। আর চাষিদের লাভের দিকটা তো ছেড়েই দিলাম। এই রাজ্যের প্রায় প্রতি জেলাতেই সফল চাষিদের কাহিনী না হয় পরে আলোচনায় থাকবে।
পলিহাউসে কৃষিকাজ শুরু করবেন কীভাবে (How to start farming in poly house) ?
এখন যদি পলিহাউসের সুবিধা সম্পর্কে জানার পরে আপনারও এই দিকে অভিপ্রায় বাড়ছে, তবে রাষ্ট্রীয় হর্টিকালচার বোর্ড ডিপার্টমেন্ট বা ন্যাশনাল হর্টিকালচার মিশনের সাথে যোগাযোগ করে আপনি এই প্রসঙ্গে সাহায্য পেতে পারেন। এগুলি হ'ল ভারত সরকারের এ জাতীয় দুটি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে আপনি পলিহাউসের প্রসঙ্গে সহায়তা পেতে পারেন।
ভর্তুকির সুবিধা পেতে পারেন (Subsidy) -
আমাদের কৃষক ভাইদের মধ্যে যদি কেউ পলিহাউসের সুবিধার্থে আর্থিকভাবে অক্ষম হন তবে আপনি সরকারের কাছ থেকে এটির জন্য আর্থিক সহায়তাও পেতে পারেন। পলিহাউসগুলি ক্রয় করার জন্য সরকার পরিচালিত অনেকগুলি পরিকল্পনা রয়েছে, যার অধীনে আপনি পলিহাউসের সুবিধা পেতে পারেন। পলিহাউস ক্রয়ের জন্য সরকার কৃষকদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান প্রদান করে।
এতে ব্যয় কত হয় (Expenditure) ?
একই সময়ে, যদি আমরা পলিহাউসগুলি নির্মাণে ব্যয় করা নিয়ে কথা বলি, তবে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বাজারে অনেক ধরণের পলিহাউস রয়েছে, যার ধরণ অনুযায়ী মূল্য নির্ধারিত হয়, তবে গড়ে পলিহাউস নির্মাণে ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। মান অনুযায়ী দাম আরও আরও বাড়তে পারে।
লাভ -
যারা পলিহাউসে চাষ করেন তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে যে কোনও কৃষক পলিহাউস থেকে গড়ে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। তবে বাজার অনুযায়ী কৃষক ভাইদের আরও ভাল লাভ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকরা যদি তাদের ফসলের ন্যায্য দাম বাজারে পান তবে বেশি মুনাফা অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্রষ্টব্য:
পলিহাউস সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে, আমাদের কৃষক ভাই রাজীব শর্মার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগের নম্বর: ৭৮৯৫৫৯০৮০০