কৃষকদের আর্থিক দুর্দশা কাটিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনেকগুলি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এগুলির মধ্যে সরকারের এক অন্যতম প্রচেষ্টা হল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। এই প্রকল্পটি থেকে বিপুল সংখ্যক কৃষক উপকৃত হয়েছেন। তবে এখন কৃষকদের জন্য রয়েছে এক সুখবর, তথ্য অনুযায়ী সরকার এই প্রকল্পটির আওতায় প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ বেশ কিছুটা বাড়িয়েছে।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের (Kisan Credit Card) আওতায় আগে কৃষকদের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হত, কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরে, প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬.৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের একমাত্র উদ্দেশ্য কৃষকদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করা। সরকারের উদ্দেশ্য এই প্রকল্পের আওতায় সর্বাধিক সংখ্যক কৃষক যাতে লাভবান হতে পারেন। এখনও পর্যন্ত ৭৫ লক্ষ কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার ২.৫০ কোটি কৃষককে ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে সরকার তার লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করছে।
সরকার ব্যাংককে এই নির্দেশনা দিয়েছে (Government's instruction for bank) -
সরকার ব্যাংকগুলিকে তার নির্দেশে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড সরবরাহ করতে হবে। শুধু তাই নয়, সরকারের অধীনে কার্ড তৈরির সমস্ত চার্জও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে, ব্যাংক অফ বরোদা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, ফসল সহ অন্যান্য ফসলে আনুষঙ্গিক কাজের জন্যও লোণ প্রদান করা হয়। ব্যাংক কর্তৃক কৃষকদের প্রদত্ত এই লোণ কৃষকদের তাদের চাহিদা মেটাতে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে কৃষকরা দুগ্ধ, হাঁস-মুরগি, মাছ চাষ, শূকর চাষ, রেশম কীট পালন ইত্যাদি করতে পারেন। কৃষকরা ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত এই লোণের মাধ্যমে তাদের কৃষিকাজের সমস্ত চাহিদা মেটাতে সরঞ্জাম কিনতে পারবেন।
কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পেতে, সরকার দ্বারা নির্ধারিত শর্তাদি মেনে চলতে হবে।
কারা আবেদনের যোগ্য –
যে সকল চাষীর নিজস্ব জমি রয়েছে, তাদের জমির নথি দাখিল করতে হবে, তারা আবেদন করতে পারেন।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ভাগ চাষীরা এবং অন্যান্য চাষী যারা জমি লিজ-এ নিয়ে চাষ করেন, তারাও এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অনুযায়ী উল্লিখিত নথি দাখিল করতে হবে।
এই বিষয়ে যারা সাহায্য করবেন কৃষককে –
সরকার থেকে কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে, তাদের আর্থিকভাবে উন্নীত করতে এই কার্ডটি প্রচলন করা হয়েছে। তাই ঘোষণা করা হয়েছে যে, কৃষক যাতে এর সম্পূর্ণ সুবিধা পেতে পারেন, সে বিষয়ে যাবতীয় সহায়তার জন্যে জেলায় অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক অথবা সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে পারেন।
কোন কারণে সহায়তা না পেলে ব্লক স্তরে সহ কৃষি অধিকর্তার অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।