পেয়ারা চাষিদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর। আসলে পেয়ারা চাষে সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। সরকারের এই প্রকল্প কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে আশীর্বাদ হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি পেয়ারা চাষ করেন বা করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন। এই খবরে আমরা এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।
টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসবে
প্রকল্পের অধীনে, তিন কিস্তিতে কৃষকদের খরচের ৫০ শতাংশ অনুদান দেওয়া হবে। যার টাকা সরাসরি পৌঁছে যাবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে। পেয়ারা এমন একটি ফসল যা যেকোনো ধরনের আবহাওয়ায় চাষ করা যায়। এমতাবস্থায় কৃষকরা পেয়ারা চাষ করলে তাদের আয় বাড়তে পারে। কারণ, পেয়ারা চাষে ভর্তুকি দেওয়ার এই স্কিম শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ছাগল পালনের জন্য ঋণ কোথায় নেবেন? অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানুন
কীভাবে স্কিমের সুবিধা পাবেন?
এই প্রকল্পে যোগ দিতে, প্রথমে সমস্ত কৃষকদের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে নিজেদের নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর তারা নিজ খরচে একটি পেয়ারার বাগানও তৈরি করবেন। এরপর তিন কিস্তিতে ৩ বছরে খরচের ৫০ শতাংশ সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুনঃ PM-KISAN-এর ১৭ তম কিস্তির টাকা কবে আসবে? জেনে নিন দিনক্ষন
হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
এক হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ করা কৃষককে ৩ বছরে তিন কিস্তিতে এই অনুদান দেওয়া হবে। ১ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ করতে প্রায় ৩৮,০০০ টাকা খরচ হয়, যার ৫০ শতাংশ (প্রায় ১৯,০০০ টাকা) তিন কিস্তির মাধ্যমে কৃষকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এ জন্য কৃষককে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগে নিবন্ধন করতে হবে। উৎপাদিত ফসল জরিপ করা হবে এবং খরচের ৫০ শতাংশ তার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। সরকারের এই কল্যাণমূলক প্রকল্পের কারণে উদ্যানপালনের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে এবং তারা সুফলও পাচ্ছেন। প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত আরও তথ্যের জন্য, কৃষকরা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
এভাবে পেয়ারা গাছ লাগান
পেয়ারা বাগান করার জন্য প্রথমে আমরা দেড় ফুট লম্বা, দেড় ফুট চওড়া এবং দেড় ফুট উঁচু গর্ত খুঁড়ে মাটি বের করে তাতে কম্পোস্ট মেশানোর সাথে সাথেই কম্পোস্ট সার দিতে হবে এতে পেয়ারা গাছ লাগাতে হবে। দুটি পেয়ারার মধ্যে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব থাকতে হবে যাতে মেশিনগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তবে আমরা এমনকি ৩ ফুট দূরত্বে পেয়ারা রোপণ করে নিবিড়ভাবে চাষ করতে পারি। নিবিড় চাষে আমরা সমস্ত কাজ কেবল হাত দিয়েই করতে পারব। তবে দুই ধরনের চাষেই ফলনের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না।