যে সমস্ত গাছের ফুল, ফল, পাতা সবকিছুই নিত্য দিনের কাজে ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে অন্যতম হল নারকেল। ডাবের জলের উপকারিতার কথা সকলেই জানে। শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং হাইড্রেট করতে অন্যতম উপদান হল ডাবের জল। এই জল খেলেও যেমন শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্যে করে ঠিক তেমনই চুল, ত্বক ইত্যাদির জন্য স্বাস্থ্যকর। অবশ্য অনেকেই মনে করেন গরমের দিনে নারকেলের জলের উপকারিতা বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে শিতকালেও শরীর এবং রূপচর্চার ক্ষেত্রে নারকেলের জলের জুড়ি মেলা ভার। শীতকালে ত্বকের শুস্কতা কাটানর জন্য নারকেল জল বেশ উপকারি। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই শীতে কিভাবে কাজে লাগানো যায় এই নারকেলের জল।
আরও পড়ুনঃ ফুলের সাম্রাজ্য ক্ষীরাইয়ে নেমে এসেছে অন্ধকার! অতিষ্ঠ জনজীবন, ফুল চাষে ব্যাঘাত, কিন্তু কেন?
শীতকাল মানেই শুষ্ক আবহাওয়া। আর এই আবহাওয়ার ফলে ত্বক অনেকখানি নির্জীব হয়ে যায়। আবার অনেকের ত্বকের ধরন হয় শুষ্ক সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতেই পারে এই জল। নারকেলের জল ফেসিয়াল মিস্ট হিসেবে ব্যবহার করতেই পারেন। একটি পাত্রের মধ্যে নারকেলের জল এবং গোলাপ জল মিক্স করে নিয়ে স্প্রে বোতল এর রাখুন। আর পরিষ্কার ত্বকের ওপর এটি স্প্রে করুন। এরফলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা অনেকাংশে কমবে এবং ত্বক সতেজ হবে। নারকেলের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক শর্করা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ময়শ্চারাইজড করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গে শুরু শীতের ব্যাটিং! ঠাণ্ডায় কাবু গোটা বাংলা, আজ মরশুমের শীতলতম দিন
শীতকালের আরও একটি অন্যতম সমস্যা হল চুল ঝরে যাওয়া। চুলের পুষ্টির জন্য নারকেল জল এবং তেলের বিকল্প মেলা ভার। নারকেলের জল চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ও সঠিক পুষ্টি করে এই জল। পাশাপাশি চুলকে মসৃণ এবং চকচকে করতে নারকেল জল ব্যবহার করা হয়।
আরও একটি সমস্যা হল খুশকি। নারকেলের জলে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এর মত উপাদান। এই উপাদানগুলি চুলকানি, খুশকি এবং মাথার ত্বক সংক্রমণেরও হাত থেকে রক্ষা করে। এই উপকরন তৈরির জন্য লাগবে আপেল সিডার ভিনেগার। এর সঙ্গে নারকেলের জল মিশিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে আপনার চুল প্রথমে ধুয়ে ফেলুন। তারপর মাথার ত্বকে এই নারকেল জল এবং আপেল ভিনিগারের সংমিশ্রনটি লাগিয়ে কিছুক্ষন পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।